পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে নাইমুল ইসলাম নামের এক কলেজছাত্র। এমককি বিভিন্ন ধরনের ছবি মোবাইলে তুলে ইন্টারনেটে ও ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে ওই শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে রবিবার রাতে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ধর্ষকের পিতা আবুল হোসেনকে (৫০) আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বৈদ্যপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের লম্পট ছেলে ধুলাসার আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো.মাইনুল ইসলাম বাচ্চু (২০) একই ইউনিয়নের কোম্পানীপাড়া গ্রামের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৬ জুলাই ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষক মাইনুদ্দিন বিয়ের কথা অস্বীকার করে। ফলে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় গণ্যমান্যরা সালিশ মীমাংসার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করায় ধর্ষিতা থানায় লিখিত অভিযোগ করে। ঘটনা টের পেয়ে ধর্ষক মাইনুদ্দিন সটকে পড়ায় তার পিতাকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়া ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিদ্দিকুর রহমান জানান, ধর্ষক এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে, তার পিতাকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, কিশোরীসহ তার পরিবারের নিরাপত্তা দেয়া হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১১ জুলাই ২০১৭/হিমেল