অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে এক পাষণ্ড স্বামী। দুই বছরের এক শিশু সন্তান আর পুড়ে যাওয়া ক্ষত বিক্ষত শরীর নিয়ে ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন রীনা বেগম। আইনী জটিলতার কারণে মামলা নিচ্ছেনা পঞ্চগড়ের থানা পুলিশ। এমনকি ঘটনার স্থান জটিলতার কারণে আদালতও মামলা অন্তর্ভুক্ত করেনি।
নির্যাতিত গৃহবধূ রীনা বেগমের মা জহুরা বেগমও তার মেয়ের ওপর চলা বর্বোরচিত ঘটনার বিচারের দাবী জানান।
গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিত ভাবে তারা জানায়, সদর উপজেলার কানপাড়া যুগিভিটা গ্রামের আবু আলম হাই হেলালের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সাথে ২০১৪ সালে সদর উপজেলার রসনাবাগ এলাকার মৃত ইসহাক আলীর মেয়ে রীনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত স্বামী সাদ্দাম হোসেন ১ লাখ টাকা যৌতুকোর জন্য চাপ দিতে থাকে। দিন দিন এর মাত্রা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রীনাকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। গত ১১ জুন সাদ্দাম যৌতুকের ১ লাখ টাকা আদায়ের জন্য রীনা বেগমকে দেহ ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাব দেয়। কিন্তু স্বামীর এ প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সাদ্দাম হোসেন রীনা বেগমের শরীরে ঘরে থাকা কেরোসিন ঢেলে লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে অর্ধেক শরীর ঝলসে যায়। আগুন লাগা শরীর নিয়ে রিনা বেগম বাথরুমে ঢুকলে স্বামী বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। এময় স্ত্রীকে মৃত ভেবে তার স্বামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রীনাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসে। এখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে রীনা তার মাকে মোবাইলে ঘটনাটি জানালে পরিবারের লোকজন রীনাকে পঞ্চগড়ে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য গত এক মাস ধরে আদালত এবং থানা পুলিশের কাছে ধরনা দেয় রীনা বেগমের মা। কিন্তু স্থান জটিলতার কারণে পুলিশ মামলা নেয়নি। অন্যদিকে একই কারণে মামলা নেয়নি আদালত।
আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনা যে এলাকায় ঘটেছে সেই থানা বা আদালতে মামলা করতে হবে। তবেই রীনা বেগম উচিৎ বিচার পাবে। এদিকে রীনা বেগমের মা জানান, ঢাকায় গিয়ে মামলা করার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই। টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসাও করাতে পারছিনা।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন