পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ এনামূল হকের হত্যা কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
রবিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের তারা অভিযোগ করেন, ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নিহত এনামুলের বড় ভাই ইসহাক আলী। তিনি বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমার বড় ভাই এনামুল হককে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে আমার ভায়ের স্ত্রী, সন্তান ও আমি নিজে আহত হই। ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরেও অজ্ঞাত কারণে আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে আমাদের পরিবারকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয় এবং ভাই।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান জানান, মেয়ে ঘটিত বিষয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিবাদ করায় ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি, ঘটনার সাথে প্রকৃতই যারা জড়িত ছিল, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। তবে আসামিরা বর্তমানে পালাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই এক বিধবা নারীকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করার পরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে হাসপাতালে নেবার পথে সন্ত্রাসীরা আবারো হামলা করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আহত হয়। ঘটনার পর দিন ৯ জুলাই নীহতের স্ত্রী মোছাঃ রুবিয়া খাতুন বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন