দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন হাসপাতাল সিলগালা করাসহ ভুয়া চিকিৎক আটক করেছে র্যাব-১৩ এর দিনাজপুরের (ক্রাইম প্রিভেনশন) ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় চিকিৎসা উপকরণসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। রবিবার রাত ৮ পর্যন্ত ওই অভিযান চালান তারা।
আটক ওই ভুয়া চক্ষু চিকিৎসক দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী মহল্লার আমজাদ চৌধুরীর ছেলে রেজাউল চৌধুরী। রবিবার বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজারের জোবেদ আলীর ওষুধের দোকান থেকে তাকে আটক করে জনতা। আটকের পর তাকে র্যাবের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিরলের ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাবুল চন্দ্র রায় জানান, কয়েক দিন থেকে এলাকায় মাইকিং করার পর রবিবার সকাল থেকে কালিয়াগঞ্জ বাজারের জোবেদ আলীর ওষুধের দোকানে বসে ২’শ টাকা করে ফি নিয়ে বিভিন্ন রোগীর চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছিল রেজাউল চৌধুরী। দুপুরের দিকে সন্দেহ হলে এলাকার লোকজন তার কাছে চিকিৎসকের প্রমাণপত্র দেখতে চান। কিন্তু রেজাউল চৌধুরী চিকিৎসক হিসেবে প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটকে রাখেন। স্থানীয় জনগণ র্যাব দিনাজপুর ক্যাম্পে বিষয়টি জানালে রবিবার বিকেলে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে আসেন।
জানা যায়, ১১ মাস আগে আবাসিক ভবনের নিচতলা ভাড়া নিয়ে 'কে. আর লায়ন আই হাসপাতাল' নামে চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে বসেন রেজাউল করিম নামে একজন ভুয়া চিকিৎসক।
ভুয়া সনদপত্র ব্যবহার করে চোখের ছানি অপারেশনসহ চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করে আসছিলেন রেজাউল করিম চৌধুরী নামের ওই ব্যক্তি। ১১ মাসের মধ্যে শতাধিক রোগীর চোখে অপারেশন করাসহ জটিল রোগের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি। অপারেশন থিয়েটার এবং রোগীর বেডও স্থাপন করা হয়েছে ওই হাসপাতালে।
র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, তার বেশকিছু ভুয়া সিল ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই হাসপাতালটি চালাচ্ছিলেন ভুয়া চিকিৎসক রেজাউল করিম চৌধুরী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সনদপত্রও জাল। অভিযানে অংশ নেন ডেপুটি সিভিল সার্জন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়ের হোসেনসহ অন্যান্যরা। হাসপাতালটি সিলগালা এবং মালামাল জব্দ করা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মামলা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার