থ্রী হুইলার (গাগলু) স্ট্যান্ডের টোলের টাকার জের ধরেই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খুন হয়েছে বলে বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে সেই টোলের টাকার জের ধরেই সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নান। এ সময় আব্দুল মান্নানকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মন।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় ৪ শতাধিক থ্রী হুইলার (গাগলু) বিভিন্ন রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। যার বেশির ভাগ থ্রী হুইলারের (গাগলু) মালিক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা, এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া প্রমানিক, রিংকু গুহ ঠাকুরতা ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা থ্রী হুইলার মালিক সমিতির সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর। প্রতি থ্রী হুইলার বিভিন্ন রুটে চলাচলের জন্য ৫০/৭০ টাকা করে সমিতির নাম করে টোল আদায় করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার টাকা টোল আদায় হয় থ্রী হুইলার থেকে। মাসে গিয়ে দাড়ায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। আর বছরে টোল উত্তোলন হয় প্রায় ৭ কোটি ২ লক্ষ টাকা। আর সেই টোলের টাকা আদায় করে সমীর দত্তের ভাই সজিব দত্তসহ সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
টোলের টাকা কয়েক বছর ধরে উত্তোলন ও ভোগদখল করে আসছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা, এমন অভিযোগ করেছেন কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক থ্রী হুইলার চালক ও মালিক। এই থ্রী হুইলার অবৈধ ভাবে মহাসড়কে চলাচলের কারণে সম্প্রতি জেলা মোটর মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। হাইকোর্টে থ্রী হুইলার চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও ক্ষমতার দাপটে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে থ্রী হুইলার। কিন্তু প্রশাসনের সঙ্গে মহাসড়কে অবৈধ থ্রী হুইলার বন্ধের জন্য আলোচনায় বসা হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
এই টোলের টাকা, টেন্ডার ও জমি দখলের টাকা নিয়ে স্থানীয় কপিতয় আওয়ামী লীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত গোপনেই বিরোধ চলছিল। সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান ঠাকুরগাঁও রোড ও রুহিয়া রুটে টোলের টাকার ভাগ নিত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সজিব দত্ত, শান্তসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসা ও জমি দখলের সিন্ডিকের সাথেও টাকা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় আব্দুল মান্নানের এমনো তথ্য অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে।
কিন্তু কিছুদিন যাবত সেইসব খাতের টাকা প্রতিনিয়ত দিতে টালবাহানা শুরু করেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্তের সিন্ডিকেট বাহিনী । এ নিয়ে আব্দুল মান্নান জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ দত্ত সমীরের কাছে একাধিক বার অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা পায়নি।
গত ১২ দিন আগে আব্দুল মান্নান টোলের টাকা সজিব দত্তের কাছে নিতে গেলে কথাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় যুবলীগ নেতা সজিব দত্ত, শান্তসহ কয়েকজন মান্নানকে হুমকি দেন।
সেই বিষয়ে মান্নান আবারো সজিব দত্তের ভাই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর দত্তের কাছে বিচার প্রার্থনা করলে তিনি মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু সজিব দত্ত অতিরিক্ত মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে ভাই সমীর দত্তের কথা শুনতে রাজি হয়নি।
কয়েকদিন আগে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, জনিসহ কয়েকজন ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় মুন্সির হোটেলের পাশে একটি পানের দোকানে কয়েকজনের সাথে ধূমপান করার সময় সজিব দত্ত দুর থেকে দেখে ক্ষেপে যায়। এ সময় জুনিয়র সিনিয়র নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে হাতাহাতি হয়। পরে ঘটনা শুনে সজিবের ভাই সমীর দত্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল মান্নানকে আবারো মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন এবং আগের কিছু টোলের টাকা প্রদান করে তার ভাই সজিব দত্তকে সঙ্গে নিয়ে ওই স্থান থেকে চলে আসেন।
মঙ্গলবার (১১ই জুলাই) রাতে যুবলীগ নেতা সজিব মুন্সিরহাট বিহারি পাড়া এলাকায় শান্ত’র বাড়িতে সমাঝোতার জন্য আব্দুল মান্নানকে ডেকে পাঠায়। এর আগেই শান্ত’র নিজ বাড়িতে সজিব ও শান্ত সহ আরো দুইজন মান্নানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা তৈরি করেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
ওইদিন রাত ১১ টায় আব্দুল মান্নান যুবলীগ নেতা শান্ত’র বাড়িতে গেলে সমাঝোতার এক পর্যায়ে আবারো কথাকাটি হয়। তখন মান্নান তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে বন্ধু জুম্মনকে কল দেয়। কিছুক্ষণ পর সজিব, শান্তসহ আরো দু’জন আব্দুল মান্নানকে বিহারী পাড়ার গলিতে পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে। এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে জুম্মন পৌঁছে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে সজিব দত্ত উত্তেজিত হয়ে মোটরসাইকেলের উপরেই জুম্মনের পায়ে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয়। পরে শান্ত লোহার রড দিয়ে জুম্মনের মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সময় মান্নান রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে শান্ত ও সজিবের ভয়ে স্থানীয় লোকজন নিরবতা পালন করেছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন।
পড়ে সজিব দত্ত ও শান্ত জুম্মনকে পাশের একটি গোরস্থানে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গিয়ে রেখে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন আব্দুল মান্নান ও জুম্মনকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আনার পথে মান্নান অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারণে মারা যান। আর জুম্মনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক থ্রী হুইলার মালিক জানান, জেলায় প্রায় ৪ শতাধিক থ্রী হুইলার বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। দু’বছর আগে জেলা থ্রী হুইলার মালিক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় যুবলীগ নেতা সমীর দত্তকে। প্রতিদিন টোলের টাকা কোথায় যায় কয়েক বছর থেকে আমরা সাধারণ মালিকরা সেটা জানতে পারি নাই। তাছাড়া তাদের উপরে কথা বললে আমাদের গাড়ি রাস্তায় উঠতেও দিবে না। তাই নিরবতা পালন করেই যাচ্ছি। তার ভাই সজিব দত্ত নেশার টাকার জন্য মাঝে মধ্যেই অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করেন।
আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মন জানান, ঘটনার দিন সজিব দত্ত ও শান্ত আব্দুল মান্নানকে পরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে যায়। হামলার কথা টের পেলে মান্নান তাৎক্ষণিক ভাবে আমাকে কল দিয়ে বলে, সজিব-শান্ত আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে বাঁচাও বন্ধু। আমি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি সজিব দত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে মান্নানের শরীরে আঘাত করছে। আমি প্রতিবাদ করলে মোটরসাইকেলের উপরেই সজিব দত্ত ধারালো অস্ত্র আমার পায়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। পরে শান্ত লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পরি। এ সময় মান্নান রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। সজিব ও শান্ত মিলে আমাকে টেনে হেঁচড়ে পাশের একটি গোরস্থানে ফেলে রাখে পালিয়ে যায়। তখন পর্যন্ত মান্নানকে আর দেখতে পায়নি। হাসপাতালে কে বা কারা নিয়ে এসেছে বলতেও পারি না।
আহত জুম্মনের কাছে বন্ধু আব্দুল মান্নান খুন হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, থ্রী হুইলার (গাগলু) ষ্ট্যান্ডের টোলের টাকা ও আগে কিছু তুচ্ছ ঘটনার কারণে মান্নান খুন হয়েছে। এই টাকা নিয়ে একাধিকবার সজিবের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে মান্নানের। কিন্তু সজিব বড় ভাইয়ের ক্ষমতা দেখিয়ে নিজেই টোলের টাকা ভোগ দখল করছিল।
এই বিষয়ে আমি, মান্নান ও জনি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও তিনি সুরাহা করেনি। ফলে ছোট একটি বিষয়ের জন্য মান্নান খুন হলো। আমিও গুরুতর আহত হয়ে পড়ে রয়েছি। সজিব দত্ত তার ভাইয়ের নাম করে ক্ষমতা ব্যবহার করে অসহায় মানুষের জমি দখল, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। দল করি বলেই এসব কথা প্রকাশ করতে পারি না।
কিন্তু আমি আমার বন্ধুর খুনিদের সর্বোচ্চ বিচার চাই। দলীয় মতা ব্যবহার করে যেন তারা পার পেয়ে না যায় সেজন্য মিডিয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছের অনুরোধ করছি।
ঘটনার পর থেকে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, পৌর ১০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্ত পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার না করে অন্য দুই জনকে গ্রেফতার করে নিরবতা পালন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খুনের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করার জন্য আওয়ামী লীগের কতিপয় প্রভাবশালী নেতারা চেষ্টা করছেন। এতে হতাহতের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন হাট-বাজার, টেন্ডারবাজি, সরকারি পুকুর দখল, সবজির আড়ৎ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বর্তমান জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর ও তার ভাই।
প্রতিদিন ঠাকুরগাঁও জেলার বড় সবজির আড়তে পন্য বিক্রি করতে আসা কৃষক ও জেলার বাইরে যাওয়া সবজির ট্রাক থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে সমীর দত্তের ভাইসহ অন্যন্যা কর্মীরা। এতে করে মাসে এই সবজি আড়ৎ থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বছরে প্রায় ৯ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা ।
এ ছাড়া যুবলীগ নেতা সমীর দত্ত ঠাকুরগাঁও শহরের শিল্পকলা একাডেমীর পেছনের প্রায় কয়েক বিঘা খাস জমি দখল করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার অনেকেই। সেই জমিতে তিনি নিজে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন। এছাড়াও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা জমি দখলে সহযোগিতা করে আসছেন।
সরকার দলীয় ক্ষমতা ও পারিবারিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ায় ঠাকুরগাঁও শহর নিয়ন্ত্রণ করছে এই প্রভাবশালী দত্ত পরিবারটি। তাদের ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হয় না।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীরের কাছে এই সকল অভিযোগে সত্যতা জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল জানান, সম্প্রতি জেলা কমিটির কমিটির সম্মেলন হয়েছে। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মান্নান খুনের অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্ত, শান্তসহ মোট ৩ জনকে বহিস্কার করেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজিব দত্তের চাচাতো ভাই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটোর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সব সময় স্বচ্ছ রাজনীতি করে আসছি। কেউ আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অপকর্ম করলে সেই দায় দল বা আমি কখনোই নিব না। যারা দোষ করবে আইনগত ভাবে তাদের বিচার হবে। তাছাড়া এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার রাজনৈতি অঙ্গনে ফাটল সৃষ্টির পায়তারা করছে একটি কুচক্রি মহল।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি দবিরুল ইসলাম জানান, দলের নাম করে কেউ অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অপকর্ম থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুনের ঘটনায় প্রকৃত আসামিদের ধরতে পুলিশ বিলম্ব করছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ বলেন, আমরা প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করেছি। খুব দ্রুত আসামীরা গ্রেফতার হবে।
এদিকে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আব্দুল মান্নান খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। খুনের ঘটনায় আব্দুল মান্নানের বড় ভাই নুর আলী বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা সজিব দত্ত ও শান্তসহ অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আগেই দুই জনকে আটক করেছেন। এছাড়া সজিব দত্তকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রতিবাদসভা ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুলাই ২০১৭/হিমেল