খুলনা মহানগরীর রেলওয়ে প্রভাতী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী গুড্ডু বাবু ও তার সহযোগী মোঃ আল মাহমুদ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ওসিসহ ৪ পুলিশ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও ৪টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। নিহতদের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে বন্দুকযুদ্ধে ইয়াসিন আরাফাত নামে আরেক সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছে।
খুলনা মহানগরীরর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী গুড্ডু বাবুকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তার অস্ত্রের ভান্ডারের তথ্য পাওয়া যায়। এরপর অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাকে সাথে নিয়ে পুলিশের একটি টিম আজ ভোর রাতে রেলওয়ের ৪ নম্বর ঘাট এলাকায় যায়। প্রভাতী সংলগ্ন কবরখানা এলাকায় যাওয়ার পরই সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও সতর্ক অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে। ২০ মিনিট পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় আগেই আটককৃত গুড্ডু বাবুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থা পাওয়া যায়। ওই এলাকা তল্লাশীকালে তার সহযোগী পুলিশের হামলাকারীদের সাথে মাহমুদকেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সদস্যরা ২ জনকেই উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, বন্দুকযদ্ধের সময় তিনিসহ পুলিশের ৪ জন আহত হয়েছেন। আহত অন্যরা হলেন এসআই সুজিত, এএসআই সরোয়ার ও কনষ্টেবল আব্দুল্লাহ। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (মন্নুজান স্কুল) সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ইয়াসিন আরাফাত (২৮) নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছে। সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহত ইয়াসিনকে পুলিশ হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৬