সম্প্রতি রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের কারণে কাপ্তাই হ্রদের নাব্যতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ি মাটির কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ। এবার বর্ষার কারণে রাঙামাটির প্রায় ৪৫টি পুকুর ও ৪৯টি ক্রিক ধসে গেছে। যার টাকার পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ। এছাড়া মারাত্মক হুমকি মুখে পরেছে কাপ্তাই হ্রদের মাছের প্রাকৃতিক প্রজননও। হ্রদ ও হ্রদের মৎস্য রক্ষা করতে হলে হ্রদের নিচে যে ৫টি বহমান নদী আছে, সে নদীগুলো দ্রুত খনন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান। আজ দুপুর ১২টায় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরে কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট রাঙামাটি নদী উপকেন্দ্র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী বেলাল উদ্দিন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান আরো বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ভূমি ধ্স হয়েছে এবার রাঙামাটিতে। তার বিরাট প্রভাব পরেছে কাপ্তাই হ্রদের উপর। অন্যদিকে টানা বর্ষণে হ্রদের পানি ব্যাপক দূর্ষণের শিকার হয়েছে। তাই কতদিন পর্যন্ত এ হ্রদ তার ধারণ ক্ষমতা ধরে রাখবে তা জানা নেই। তিনি বলেন, একটা সময় রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউস মাছের জন্য প্রাকৃতিক প্রজনন স্থলের মধ্যে অন্যতম ছিল কাপ্তাই হ্রদ। হ্রদ সৃষ্টির শুরুর দিকে হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন ছিল ৮০ ভাগের উপর। যা বর্তমানে ৪-৫ ভাগে নেমে এসেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার