যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমলেও এখনো বিপদসীমার ২৮ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনো বসতবাড়ীতে পানি থাকায় কেউ ঘরে ফেরেনি। বিশুদ্ধ পানি সংকট ও টয়লেটের বিড়ম্বনাসহ নানা সমস্যা নিয়ে ওয়াপধার ধারে অবস্থান করছে। আর চরাঞ্চলের বন্যাকবলিত পানির মধ্যেই জীবনযাপন করছে। সরকারী তথ্যানুযায়ী মাত্র কয়েকদিনের বন্যায় জেলার ৫০টি ইউনিয়নের ২৪৭ গ্রাম ও ৫০ হাজার পরিবারের আড়াই লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নদী ভাঙ্গনে আড়াই হাজার বসতভিটা সম্পূর্ণ ও ত্রিশ হাজার আংশিক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিতরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। এ সকল মানুষ খাস জমিতে আশ্রয় দেবার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন। এছাড়াও ১৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে সোয়া কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন এবং ৩৭৬টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬টি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৩৭২ মেট্টিক টন চাল নগদ নয় লক্ষ টাকা ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হলেও অনেকে এখনো ত্রাণ পায়নি। আবার ত্রাণ বিতরণে অনিয়মই। চৌহালীর দুর্গম চরাঞ্চল ওমরপুর ইউনিয়নে জনপ্রতি ১০ কেজি বরাদ্দ থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান ৭ কেজি করে দিয়েছেন। অনেক দুঃস্থ মানুষ ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার