নেত্রকোনা-কেন্দুয়া সড়কে পিকআপ ভ্যানের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে শারমিন (২৩) নামের একজন নিহত হয়েছেন। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার কশিপুর গ্রামের আব্দুল বারীর মেয়ে। এ ঘটনায় আরো দুজন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ দুপুরে সদর উপজেলার বনুয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুরতর আহত একই উপজেলার জালালপুর গ্রামের আবুল কালামকে (৫০) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কেন্দুয়া থেকে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে নেত্রকোনা আসার পথে বনুয়াপাড়া এলাকায় একটি বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানের সাথে সংষর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে শারমীন নামের একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এসময় শারমীনের বাবা আব্দুল বারী ও আবুল কালাম নামের দু'জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শী আবু আব্বাস কলেজের পরীক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েলসহ অন্যরা জানান, আমরা পরীক্ষা দিয়ে চা স্টলে যাচ্ছিলাম। এর মাঝেই দেখি দুর্ঘটনায় নিহত মেয়েকে নিয়ে আহত বাবা পড়ে আছে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এসময় সিএনজি অটো চালককে আটক করে পুলিশের তুলে দিতে চাইলেও তারা আটক করেননি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, শারমীন নামের একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। আবুল কালাম নামের একজনকে গুরুতর অবস্থায় মযমনসিংহ পাঠানো হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে মডেল থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। ঘাতক ভ্যান চালক পালিয়ে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ জুলাই ২০১৭/হিমেল