রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলা। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় এ উপলক্ষে রাঙামাটি বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণের আয়োজনে ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় শহরের পৌর চত্বর থেকে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গণে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এসময় তিন পার্বত্য জেলা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মো. রেদুওয়ান, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মোঃ রফিকুল হাসান মুকুল, রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রনব ভট্টাচার্য্য, রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তরা বলেন, সম্প্রতি রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের কারণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃক্ষ ও বন। কারণ বৃক্ষ না থাকলে, বনও থাকবেনা। আর বনায়ন না থাকলে জীব বৈচিত্র্য থাকবেনা। পাহাড় ধসের ঘটনার পর এখন প্রায় পাহাড় বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়েছে। তাই বেশি বেশি বনায়ন করে পাহাড়কে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ বৃক্ষ নাথাকলে পাহাড় তার ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। তাতে বাড়বে পাহাড় ধসের ঘটনা।
বক্তরা আরও বলেন, মানুষের জীবন রক্ষার জন্য বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। একটি ফলজ গাছ সন্তানের ন্যয় বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মাকে আর্থিক সহায়তায় সাহায্য করে। গাছ শুধু মানুষের পুষ্টি সহায়তায় সাহায্য করেনা। এ ফল খেয়ে পশু পাখিরাও জীবন ধারন করে। তাই বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বৃক্ষরোপনের বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। বাগানের পাশাপাশি নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গাছ লাগাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান বক্তরা।
এবার রাঙামাটি বৃক্ষ মেলায় বিভিন্ন গাছ নিয়ে স্টল বসেছে প্রায় ৩৫টি। উদ্বোধনের পর জমে উঠে মেরা স্থল। মেলায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি চারাগাছ।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন