এবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে যায় যায় দুই বখাটে।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই বখাটেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিত মেয়েটি বাঘার আড়ানি ইউনিয়নের হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এবং ঝিনা রিফিউজিপাড়া গ্রামে তার বাড়ি।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা হলো, বাউসা ইউনিয়নের খাগরবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাকির আলী (২০) ও একই এলাকার সমজানের ছেলে নাজমুল হোসেন (২২)। তবে ঘটনার পর থেকেই তারা দুজন পলাতক আছে।
আড়ানী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি তার বাড়ি থেকে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এসময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল জাকির এবং নাজমুল। তারা মেয়েটিকে একা পেয়ে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ধর্ষণ করে মেয়েটিকে ঝিনাড়ি স্কুলের কাছে রইচ উদ্দিনের বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়।
এদিকে মেয়েটি বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। শেষে রাত তিনটার দিকে ধর্ষকদের একজন মোবাইলে কল করে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের জানায়, সে ঝিনাড়ি স্কুলের কাছে পড়ে আছে। ওই খবরে পরিবারের লোকজন দ্রুত সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সে নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষক দুই বখাটে জাকির ও নাজমুল নামের মামলা করে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন