নাটোরের সিংড়া উপজেলার বেলোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা সমস্যায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। গাদাগাদি করে জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস করছে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। দুটি এক তলা বিশিষ্ট ভবনে ফাটল ধরেছে। প্রধান শিক্ষকের আলাদা অফিস নাই। একই কক্ষে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকসহ চলছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। স্কুলের ফলাফল ভালো। কিন্তু শ্রেণি কক্ষ সংকটে বিদ্যালয়টির পাঠদানসহ যাবতীয় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সুকাশ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত বিদ্যালয়টি। এখানে অধ্যয়নরত রয়েছে শতাধিক আদিবাসি শিক্ষার্থী। দুটি একতলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে দুটিই চলাচলের অনুপযোগী। বিদ্যালয়ের ৪টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে ৪টিতে ফাটল ধরেছে। একটি কক্ষে কম্পিউটার ল্যাব,অফিস কক্ষ, প্রধানশিক্ষক কক্ষ এবং শিক্ষকবৃন্দ বসার স্থান রয়েছে। মেয়েদের কমন রুম নাই, পরিত্যক্ত মাটির ঘরে কমন রুম করা হয়েছে, যেখানে ২ শতাধিক ছাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাদের জন্য আলাদা কোন কমন রুম কিংবা টয়লেট নাই। একটি টয়লেট রয়েছে, ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে হয়। শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা আটসাট ভাবে কম্পিউটার পরিচালনা করে থাকে।
বেলোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম রয়েছে, বিগত দিন থেকে শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শতভাগ পাশ। কিন্তু শ্রেণি কক্ষ সংকট আছে। যার কারণে কোন কোন ক্লাস ২০মিনিট নিতে হয়। তাছাড়া সরকারিভাবে ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তারপরে ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করা হচ্ছে। ছাত্রীদের কমন রুম না থাকায় বারান্দায় গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইসমাইল মল্লিক বলেন, সুকাশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এটি। নতুন ভবন খুবই জরুরি। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়কে বিষয়টি বলা হয়েছে, তিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি দ্রুত আমরা তাঁর প্রতিফলন দেখতে পারবো।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার