ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো অফিস করছেন। যখন খুশি তখন আসেন। আবার যখন খুশি তখন চলে যান। গত এক সাপ্তাহ যাবৎ সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার আগে কোনো ডাক্তারই অফিসে আসেন না। অথচ সরকারি নিয়ম রয়েছে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অফিস করা। যেমন সাড়ে ৯টার আগে অফিসে আসেন না।
আবার অভিযোগ রয়েছে, সাড়ে ১২টা থেকে ১টার পরে আর অফিসে থাকেন না তারা। রবিবার সকাল ৯টা ৩৭মিনিটে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান তার বাসা থেকে বের হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন। একই দিন সকাল ৯টা ৪০মিনিটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, আউটডোর রোগীদের ভিড়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষসহ বাকি সব ডাক্তারদের কক্ষগুলো ছিল খালি। এমন কি আউটডোর ফার্মেসীর দরজায়ও ছিল তালা। ওই সময় আউটডোর ফার্মেসীর সামনে দেখা গেছে কম করে হলেও ১০জন ওষুধ কোম্পানীর বিপণন প্রতিনিধি ডাক্তারদের অপেক্ষায় রয়েছেন। উপজেলা ফ্যামেলি প্লানিং কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বসেন ৭নং কক্ষে। ওই কক্ষটি কোনো দিনই খোলা পাওয়া যায়নি। এই প্রতিবেদক ওই বন্ধ দরজার ছবি তুললে স্টাফদের কেউ তার কাছে ফোন দিলে সে কোনো এক ফাঁকে তড়িগরি করে কক্ষে ঢুকে পড়েন। ডাক্তারদের বিরুদ্ধে রয়েছে অফিস সময়ে বাহিরে রোগী দেখতে যাওয়ার অভিযোগ।
অফিসে না এসে, আউটডোর রোগী না দেখে সকাল ১০টার আগ পর্যন্ত বাসায় প্রাইভেট রোগী দেখা ও ওষুধ কোম্পানীর বিপণন প্রতিনিধির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সাক্ষাতই যেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের প্রধান কাজ। সোমবার বেলা ১২টার দিকে ডাক্তার আসিফুজ্জামানকে তার কক্ষে চেয়ারে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি অফিসের সময় ৮টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত স্বীকার করলেও ডাক্তার বা অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনিয়মের ব্যাপারে কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার