দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। আজ সকালে তিনি যশোরের স্পেশাল জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর নড়াইলের রূপগঞ্জ পশুহাট ইজারা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় যশোরের স্পেশাল জেলা জজ আদালত সোহরাব হোসেনসহ সাত আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও আত্মসাৎকৃত টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন কমিশনার শরফুল আলম লিটু, মুশফিকুর রহমান, আহম্মদ আলী খান, রফিকুল ইসলাম ও তেলায়েত হোসেন। এদিন দণ্ডপ্রাপ্ত সোহরাব হোসেন আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া এ মামলার অপর আসামিদের ওইদিনই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে আসামি সোহরাব হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুহাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিডি হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহরাব হোসেন তা মঞ্জুর করেন।
এরপর ইজারাদাতাকে তার জমাকৃত টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়। একইসাথে নতুন করে ইজারা আহ্বান না করে সকলে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ওই হাট তিনবছর ধরে খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করেন এবং সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট ৮ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে মতিয়ার রহমান নামে এক আসামি মৃত্যুবরণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/২ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল