বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে গণপদত্যাগের করেছেন ওই থানার অন্তর্গত ৫ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্যরা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস জব্বার খান এবং জেলা পরিষদ সদস্য জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন দলের জেলা কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি।
নবগঠিত এই কমিটিতে বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম মাহামুদ সেকুলকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন খোকনকে সহ-সভাপতি, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছে বিএনপির আরেক সাবেক নেতা মহিউদ্দিন তালুকদার। এছাড়া গঠিত ওই কমিটির বিভিন্ন পদ পেয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা আহসান হাবিব তোতা, জামায়াত নেতা সালাউদ্দিন আকন ও জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল জলিল।
ত্যাগী-বঞ্চিতদের বাদ দিয়ে হাইব্রিডদের দিয়ে কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের প্রতিবদে গত রবিবার কাজীরহাট থানার পাঁচটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতারা গণপদত্যাগ করেছেন। থানার বিদ্যানন্দপুর, লতা, জয়নগর, ভাষানচর ও আন্দারমানিক ইউনিয়নের সিংহভাগ নেতারা ইতিমধ্যে গণপদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্দারমানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাফুজ আলম লিটন এবং ভাষানচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চুন্নু।
লতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নেহাল জানান, আওয়ামী লীগ বিরোধী (বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি) নেতাদের দিয়ে মন গড়াভাবে কাজীরহাট থানা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্যাগী ও দলের দুর্দিনের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ফেসবুক নির্ভর পকেট কমিটি গঠনের প্রতিবাদে তারা পাঁচ ইউনিয়নের তৃণমূল আওয়ামী লীগের পদ-পদবীধারী নেতারা গণপদত্যাগ করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহম্মেদ কোন পদত্যাগের বিষয়ে তার জানা নেই বলে দাবী করেছেন। গঠিত নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া সবার পূর্বের রাজনৈতিক পরিচয়ও তিনি জানেন না বলে দাবী।
আওয়ামী লীগ দলীয় স্থানীয় এমপি পঙ্কজ নাথ বলেন, নতুন থানা কমিটিতে কেউ তার মতামত চায়নি। ঘোষিত কমিটিতে অধিকাংশ বিএনপি-জামায়াতের নেতারা পদ পেয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি জানান, গণপদত্যাগের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। কোন নেতা যদি তার পূর্ব দল থেকে পদত্যাগ করে আসে তবে তাকে আওয়ামী লীগে নেয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন