টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌর মেয়র শহীদুজ্জামান শহীদের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। মেয়রের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ঝড়কা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বিগত ৩০ বছর ধরে ঘাটাইল ঝড়কা বাজার ভানীকাত্রা মৌজায় ২৬ দাগে সকাল বিকাল বাজার বসে। সেখানে ছোট বড় মিলে প্রায় ৩ শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া পাশেই সেনানিবাস থাকায় ঝড়কা এলাকায় শত শত অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ও স্থানীয়রাই এই বাজার পরিচালনা করে আসছে। বর্তমান মেয়র দাায়িত্ব নেওয়ার পর তার লোলোপ দৃষ্টি পড়ে বাজারের নিরহী ব্যবসায়ীদের উপর। বন বিভাগের জমিতে বহুতল ভবন করবে বলে দোকান ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে গোপনে সমিতির সদস্যদের পৌরভবনে ডেকে নিয়ে প্রতি দোকান থেকে ১ হাজার টাকা দাবি করেন। ব্যবসায়ীরা শেষ পর্যন্ত মাসে ৪শ' টাকা করে দিতে গেলে মেয়র লিখিত ছাড়াই টাকা নিতে চায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা লিখিত ছাড়া টাকা না দিয়ে ফেরত চলে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আব্দুল খালেক বলেন, কিছুদিন পূর্বে মেয়র ঝড়কা বাজারে এসে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা বলে সমস্ত দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে মেয়রের লোকজন এসে ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তাদের পৌর অফিসে নিয়ে যায় এবং প্রতি দোকান থেকে মাসে ১ হাজার টাকা দিতে বলে। তা না হলে দোকান ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে চায়ের দোকানদার কবির হোসেন জানায়, দোকান ভাড়া, খাজনা দ্বিগুণ। অপরদিকে মেয়রের মাসে ১ হাজার টাকা দাবি। এমন অবস্থায় আমরা কোথায় গিয়ে দাড়াব? সরকারের কাছে দাবি মেয়র কর্তৃক এই হয়রানি থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।
ঘাটাইল পৌর মেয়র শহীদুজ্জামান শহীদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঝড়কা বাজারের সকল দোকানদার অবৈধ, আমি তাদের কাছে কোন টাকা দাবি করি নাই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘাটাইল পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ঝড়কা বাজারের ব্যসায়ীদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসারকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/৩ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল
