হাইকোর্টের আদেশ অমান্য ও তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলাকালীন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১০টায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার হলরুমে জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্যে কমিটির আহ্বায়ক এবং সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পরে আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাস বন্ধ রাখতে স্থিতিবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি একই অভিযোগের তদন্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। স্থিতিবস্থা ও তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শেষ হওয়ার পূর্বেই রাষ্ট্রের আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার যথাযথ অনুসরণ না করে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে জেলা পরিষদ যে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছেন তার শাস্তি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
কমিটির সদস্য সচিব ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের পাশ করিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টাকার বিনিময়ে এক পরিবার থেকে ৩-৪ জনকে চাকরি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য ও পানছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা ও বর্মাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হর মোহন চাকমা, মুক্তিযোদ্ধা আলী আশ্রাফ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/৪ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা