বগুড়ায় যুবলীগ কর্মী আবু সাঈদ (৩০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
রবিবার থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত সাঈদের বড় ভাই ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোঃ শামসাদ। মামলায় তিনি মোঃ রাসেলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদ হোসেন জানান, প্রথমিক তদন্তে হত্যাকারিদের সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। থানায় মামলা দায়েরে হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে যুবলীগ কর্মী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনার পিছনে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক থেকে চাঁদা তোলার দ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে এলাকাবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী এ তথ্য জানান।
বগুড়া শহরের মালতিনগর, কলোনী এলাকায় করতোয়া রোড দিয়ে চলাচলকারি শতাধিক ইজিবাইক থেকে চাঁদা তোলার ঘটনা নিয়ে যুবলীগ কর্মীদের সাথে একটি মহলের দ্বন্দ্ব শুরু হলে আবু সাঈদকে গত শুক্রবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
হত্যাকাণ্ডের পর ময়না তদন্ত শেষে শনিবার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করলে সন্ধ্যায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিহত সাঈদের ভাই মোঃ শামসাদ বগুড়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি এবং ছোট ভাই নিহত সাঈদ যুবলীগকর্মী হিসেবে সভা সমাবেশে অংশ নিয়েছে।
সাঈদকে হত্যার আগের দিন ৯ নভেম্বর ইজিবাইক চালকদের কাছে চাঁদা সংগ্রহ করা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় আরেক যুবলীগকর্মী ইসমাইল হোসেন (৩২) ছুরিকাঘাতে আহত হয়। ওই দিন বিকালে বগুড়া শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে প্রতিপক্ষের হামলায় সে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন