প্রায় দুই সপ্তাহ আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর দেশের সর্ব উত্তরের স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় ফের পাথর আমদানি শুরু করেছে আমদানিকারকরা। ভারতীয় একটি পাথরের ট্রাকে অবৈধ ভাবে মোটর যন্ত্রাংশ বিজিবি কতৃক আটক হওয়ার পর এই বন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে এই বন্দর।
জানা যায়, গত ১ নভেম্বর একটি পাথর বোঝই ট্রাকে অবৈধ ভাবে ২০ টন মটর যন্ত্রাংশ পাচার করার সময় বাংলাবান্ধা বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এই মালামাল পাচারের ঘটনা নিয়ে বন্দরে তোলপাড় শুরু হলে কাস্টমস কতৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের ইয়ার্ডে মালামাল আনলোড করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কাস্টমসের এই নির্দেশনাকে বাস্তব সম্মত নয় এমন অভিযোগে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
এদিকে ২০ টন মটর যন্ত্রাংশ পাচারের ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস এবং বিজিবিসহ ভারতীয় কাস্টমস আলোচনায় বসে। এই অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তদন্ত টিম গঠন করা হয়। বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ আমদানিকৃত সকল মালামাল বন্দর ইয়ার্ডে আনলোড করার শর্ত আরোপিত করে বন্দর কাস্টমস। এদিকে ভুটান ও ইন্ডিয়ার প্রায় শতাধিক পাথর বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও আমদানিকারকরা তা বন্দরে আনলোড বন্ধ রাখে। গত ১৩ নভেম্বর কাষ্টমসের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আহসানুল হক বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর পরিদর্শনে এসে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে কাস্টমস কতৃক আরোপিতশর্ত শিথীল করেন। এর পর আমদানিকারকরা পাথর আমদানি শুরু করেছেন।
এদিকে এই স্থল বন্দরে অবৈধ কার্যক্রম আর যেন না হয় এমন দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। বাংলাবান্ধা কুলিশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আক্তারুল হকজানান, এভাবে স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকরা সংকটে পরে। তাই ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ তারা যাতে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা না করে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট সাদেকুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান জানান, কিছু সংখ্যক কালোবাজারি ব্যবসায়ীর কারণে এই বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমদানিকারক আলমগীর হোসেন জানান, পাথর আমদানি শুরু করেছি । তবে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কাস্টমসসের সহকারি কমিশনার আবদুস সাত্তার জানান, এই বন্দরটি পাথর আমদানি নির্ভর। দীর্ঘ কয়েক দিন পর আবার পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দরে চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার