বগুড়ায় নানা আয়োজনে পালিত হল নবান্ন উৎসব। উৎসব পালনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এর মধ্যে বগুড়া সদরে নবান্ন উৎসবে সপ্তম শ্রেণের এক স্কুল ছাত্রী লিখেছেন ‘হাওয়া দেয় দোলা, কত কিছুর মেলা। আমাদের বিদ্যালয়ে আজ শত পিঠার মেলা। বানিয়েছি শত পিঠা, দিয়েছি তাতে লক্ষ মিঠা। তৈরি করেছি নতুন চালের পিঠা, দিয়েছি তাতে হাজার রঙের ছিটা।’ এমন নানা মধুর শব্দে বাঙালীর চিরায়ত নবান্ন উৎসব নিয়ে কবিতা লিখেছেন জান্নাতুল মায়া।
এই উৎসবকে ঘিরে বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নে মাঠের নতুন আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বগুড়া সদর উপজেলা প্রশাসন ও শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে পল্লী মঙ্গল বারুই পাড়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছিল বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
বুধবার সকালে নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বগুড়ার উপ পরিচালক সুফিয়া নাজিম। এতে সভাপতিত্ব করেন শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক। উৎসবে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর হেনা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম।
এদিকে এসো মিলি, নবান্নের উৎসবে’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় নবান্ন উৎসব পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন