কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। পরে লেখাপড়া চালিয়ে যাবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান কনের পিতা।
কনে ফাঁশিয়াখালী রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও ওই এলাকার রহমত উল্লাহর মেয়ে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিয়েব দিন ধার্য ছিল ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ রহমত উল্লাহর অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ের সাথে মালুমঘাট এলাকার বেলাল উদ্দিন নামের এক যুবকের। বিয়ের আয়োজনও চলছিল ঠিকমত, খাবার দাবারও প্রস্তুত ছিল। বরযাত্রী আসার আগ মুহূর্তে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বলেন এ বিয়ে হবেনা। পরে মেয়ের পিতা মেয়েকে বিয়ে দিবে না শর্তে মুচলেকা দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বাল্যবিয়ে নিয়ে বুঝানোর পর প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেনা মর্মে ছাত্রীর মা-বাবা লিখিত অঙ্গিকার পত্র দিয়েছে। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জড়ো হওয়া লোকজনকে বলেছি বাল্যবিয়ে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে। না পারলে প্রশাসনকে জানাতে।
বিডি প্রতিদিন/২১ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল