দিনাজপুরের বিরামপুরে সৎ মায়ের অত্যাচারে এক কিশোরের মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার বিরামপুর উপজেলা সীমান্তের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রাম থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও সন্দেহভাজন হিসেবে সৎ মা নার্গিস বেগমকে আটক করে বিরামপুর থানা হেফাজতে নিয়েছে।
মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা যায়, বিরামপুরের কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের সাইদুর রহমান সিলেটে রিক্সা চালান। বাড়িতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানরা রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রীর দুই পুত্রের মধ্যে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও একজন কাটলা বাজারে অন্যের দোকানের কর্মচারী হিসাবে কাজ করে। প্রথম পক্ষের দুই পুত্রকে সৎমা নার্গিস বেগম বাড়িতে উঠতে দিতো না। শনিবার দোকান থেকে ছুটি নিয়ে সাইদুরের প্রথম পক্ষের পুত্র জামিরুল ইসলাম (১৫) বাড়িতে যায়। এসময় সৎ মা নার্গিস বেগম তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
প্রতিবেশীরা জানায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে জামিরুল আবারো বাড়িতে গেলে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে সৎ মা প্রতিবেশীদের জানায়, জামিরুল আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবেশীরা জামিরুলের লাশ উদ্ধার ও সন্দেহভাজন নার্গিস বেগমকে আটক করে পুলিশে দেয়।
বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ এস এম হাফিজুর রহমান রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কিশোর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে বিষয়টির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব