১৯৯৬ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিলেন, তখন দেশের পার্বত্য অঞ্চল ছিলো অশান্ত। পাহাড়ি এলাকায় শান্তি ফেরাতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পাহাড়ি আদিবাসীদের সংগঠন জনসংহতি সমিতির সাথে চুক্তি করে তৎকালীন সরকার। ওই চুক্তি সাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন জাতীয় সংসদের তৎকালীন চিফ হুইপ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি। এরপর থেকে প্রতিবছর রাজধানী ঢাকা ছাড়াও হাসানাতের নিজ জেলা বরিশাল আওয়ামী লীগ ঘটা করে পালন করে আসছে শান্তিচুক্তি দিবসটি।
এরই ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির ২০ বছর পূর্তি ব্যাপক আয়োজনে পালন করেছে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে (ঈদ-ই মিলাদুন্নবীর কারনে একদিন পিছিয়ে) রবিবার বরিশালে বিশাল আনন্দ মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০টায় নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ নগর ভবনের সামনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ।
সমাবেশে সাদা পায়রা এবং বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে শান্তি চুক্তির ২০ বছর উদযাপন করা হয়। সমাবেশে শান্তি চুক্তির প্রনেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর সদর রোডের সোহেল চত্ত্বরের দলীয় কার্যালয় চত্ত্বর থেকে একটি বিশাল বর্নাঢ্য আনন্দ মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। জাতীয় পতাকা হাতে মিছিলের সামনে নেতৃত্ব দেন শান্তি চুক্তির প্রনেতা হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি’র বড় ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ।
একটি বিশাল হাতি এবং ২টি ঘোড়াসহ একটি ঘোড়ার গাড়ি, বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লে ছিলো আনন্দ মিছিলের অন্যতম আকর্ষন। আনন্দ মিছিল এবং সমাবেশে বরিশাল মহানগরী এবং জেলার ১০ উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।
শান্তি চুক্তির ২০ বছর পূর্তি উৎসব পালনের কারনে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল নগরী কার্যত অচল হয়ে পড়েছিলো। সাধারণ জনগনকে সদর রোড, গীর্জা মহল্লা, ফজলুল হক এভিনিউসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দিয়ে চলাচল করতে প্রচুর বেগ পেতে হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও নারীরা পড়েছিলেন চরম বেকায়দায়।
এদিকে শান্তি চুক্তির ২০ বছর পূর্তি উৎসব পালন উপলক্ষ্যে বরিশাল নগরীতে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন ছিলো অতিরিক্ত পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/০৩ ডিসেম্বর ২০১৭/ওয়াসিফ