আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় আখি আক্তার ইমু নামের ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনার দায়ে আজ সাইম আহম্মেদ (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার চরসিরামপুর গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে।
নিহতের মা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিবেশী সাইম আহম্মেদ নামের এক বখাটে আমার শিশু কন্যকে অপহর করে নিয়ে একটি খালি বাউন্ডারীর ভেতরে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে অনান্য শিশুরা তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত শিশু আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ফিরোজের বাড়িতে তার বাবা-মায়ের সাথে থাকতেন। শিশুর বাবা রিক্সা চালক ও মা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সোমবার বিকেলে শিশুটি তার বন্ধুদের সাথে জামগড়ার রুপায়ন মাঠে খেলছিল।
নিহতের দাদীর আসিয়া বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার ছেলে রিকসা চালক। ছেলে-বৌ পোশাক কারখানায় শ্রমিক। দু'জনে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। হঠাৎ ইমু অজ্ঞান হয়ে পরে গেছে বলে তার দাদিকে জানায় সাইমের মেয়ে তানজিনা। পরে ইমুর দাদী তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যবরত চিকিৎসক ইমুকে মৃত ঘোষণা করে। শিশুটির মৃতদেহ ধর্ষণের আলামত দেখে আশুলিয়ার থানা পুলিশকে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ষণকারীর ফাঁসি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এলাকাবাসীর ।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নিহতের প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে তাকে অপহরণের ধর্ষণ পর শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার