সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধারের পাশাপাশি নতুন খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর মহাজনপট্টি এলাকায় নতুন খাল খনন কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় মেয়র জানান, পর্যায়ক্রমে নগরীর বিভিন্ন স্থানে আরো কয়েকটি খাল খনন করা হবে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডেও মহাজনপট্টি, চালিবন্দর, ছড়ারপাড়, কাষ্টঘর, কামালগড় এলাকা ঘিরে একটি বিশাল জলাধার ছিল। স্থানীয়ভাবে এই জলাধার ‘জল্লাছড়া’ হিসেবেই পরিচিত ছিল। ব্যক্তিমালিকানাধীন এই জলাধার গত কয়েক বছরে ভরাট করে ফেলায় বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতে ওই এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
নগরীর এই পাঁচ এলাকার জলাবদ্ধতার কথা চিন্তা করে মহাজনপট্টি, চালিবন্দর, ছড়ারপাড়, কাষ্টঘর, কামালগড়ে মধ্যে দিয়ে নতুন একটি খাল খননের সিদ্ধান্ত নেয় সিটি করপোরেশন। কাষ্টঘর এলাকা থেকে ‘জল্লার’ ভেতর দিয়ে মহাজন পট্টি, চালিবন্দর, কামালগড় হয়ে নতুন এ খালটি ছড়ারপাড়ের গোয়ালিছড়ায় গিয়ে যুক্ত হবে। আর গোয়ালিছড়া দিয়ে সরাসরি সুরমা নদীর সাথে যুক্ত হবে এটি।
বৃহস্পতিবার সকালে নতুন এই খালের খনন কাজ শুরু করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় তার সাথে ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, নজরুল ইসলাম মুমিন, দিবা রানী দে বাবলীসহ সিসিকের কর্মকর্তারা।
এ খনন প্রসঙ্গে মেয়র আরিফ বলেন- ‘জল্লা’ ভরাট হয়ে যাওয়ায় নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বিশাল একটি এলাকার লোকজনকে জলাবদ্ধতায় নাকাল হতে হচ্ছে। তাই ভূমির মালিকদের সাথে আলোচনা করে সিটি করপোরেশন ওই এলাকার ভেতর দিয়ে নতুন খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে খালটির খনন কাজ শেষ হলে ওই এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান মেয়র।
বিডি প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল