বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিবাদমান এক বিঘা জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পুটিখালী ইউনিয়নের পূর্ব সোনাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আমবাড়িয়া গ্রামের শাজাহান শেখের ছেলে পলাশ শেখ(৪৫) ও পাতাবাড়িয়া গ্রামের তোরাব আলী শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (৫২)। এরা দুজনই পেশায় মটর শ্রমিক। এই জোড়া হত্যার ঘটনায় প্রধান শহিদুল খানসহ ছয় জনকে পুলিশ আটক করেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে পূর্ব সোনাখালী গ্রামের আব্দুর রহিম খানের জমিতে তার বংশীয় শহিদুল খান ২০/২৫ জন লোক নিয়ে ধান কাটতে শুরু করে। এ সময় রহিম খানের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরকে পিটিয়ে-কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন পলাশ শেখ ও ইব্রাহিম শেখ।
এ ঘটনায় আহত নিহত পলাশের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৫), আওয়ামী লীগ নেতা কবির শেখ (৫০), মজিবর হাওলাদার (৪৮), হেমায়েত খান (৬৬), মাসুমা বেগম (৪২) ও জাহিদ শেখ (৪২) কে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কবির ও মজিবরকে খুলনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নিহত দুই জনের লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও এই জোড়া হত্যার ঘটনায় মূল নায়ক পূর্ব সোনাখালী গ্রামের মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে শহিদুল খানসহ ছয় জনকে পুলিশ আটক করেছে। এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রতিদিন/২২ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা