গত কয়েকদিনের প্রচন্ড শীতের কারণে পঞ্চগড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। শীতের কাপড়-চোপড়েও কাজ হয় না।শীতের তীব্রতা আর ঠান্ডা হিমেল হাওয়ার কারণে রাতে ঘুমাতে পারছেনা খেটে খাওয়া মানুষ। হাড় কাঁপানো এই শীতে আগুনের উত্তাপই একমাত্র ভরসা।
গত তিনদিনে সূর্য্যের দেখা মেলেনি পঞ্চগড়ে। এখানে দিনভর মেঘাচছন্ন আকাশ আর কুয়াশায় আবৃত্ত থাকছে সবকিছু। উত্তরের হিমালয় পাহাড় থেকে নেমে এসেছে এই হাড় কাঁপানো শীত। খেটে খাওয়া মানুষ নিদারুণ কষ্টে দিন পার করছে। ঘরে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে তাদের। শীতের তীব্রতায় কাজ কর্মে যেতে পারছেনা কেউই।
তেঁতুলিয়া আাবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমবায়ুর প্রভাবে এই কনকনে শীত । কুয়াশার কারণে সূর্য়ের দেখা মিলছেনা পঞ্চগড়ে। সারাদিন ঘন কুয়াশায় আবৃত্ত থাকছে সবকিছু। কুয়াশা আর শীতের কারণে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষের আয় উপার্জনও কমে গেছে। ফলে কষ্টও বেড়েছে তাদের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২’র মধ্যে উঠা নামা করছে। সন্ধ্যা নামলেই পঞ্চগড় শহরে নেমে আসছে সুনসান নিরবতা। আগে ভাগেই সবাই ঘরে ফিরছেন। গভীর কুয়াশার কারণে দিনেব বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে চালকদের।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার