কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের দাঁড়াচৌ গ্রামের ব্যবসায়ী আবাদ মিয়া স্ত্রীর সাথে কলহের জের ধরে ২০০০ সালে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এঘটনার ১৭ বছর পর পারিবারিক কলহের জের ধরে একই পথ বেছে নিলো তার ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩)। শুক্রবার বিকেলে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান এক সন্তানের জনক। তিনি দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ৫ মাসের ছুটি কাটিয়ে ৩০ জানুয়ারি দুবাইয়ে ফেরার কথা ছিল তাঁর। এরই মধ্যে স্ত্রী ও মায়ের মধ্যে বিবাদ থাকায় তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। এসব কারণে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেয় তার মা, কিন্তু তিনি তালাক দেননি। এনিয়ে মিজান স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য গ্রাম্য সালিস বসায়। সালিসেও তার মা তার স্ত্রীকে আনতে রাজি হয় না। এনিয়ে মা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া লেগেই ছিল। এ অবস্থায় মিজান বিষাদে ভুগতে থাকে।
নিহতের মা নুরজাহান বেগম জানান, শুক্রবার দুপুরে গ্রামের দোকান থেকে চা খেয়ে বাড়ি যায় মিজান। জুমার নামাজের পর ঘরের ভেতর তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। এরপর পুলিশকে খবর পাঠালে নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজিম উদ্দিন একদল পুলিশ নিয়ে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে নিহত মিজান পূর্ব থেকে মানসিক বিষাদগ্রস্থ ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানায় নাজিমের মা নুরজাহান বেগম। এ কারণেই নাজিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল বলেও দাবি তার।
নাঙ্গলকোট থানার তদন্ত পরিদর্শক মো. আশ্রাফুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার লাশ পাঠানো হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল