বগুড়ার মাহস্থানগড় এলাকার তিনটি নার্সারী থেকে ৩ শতাধিক পপিফুলের চারাগাছ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পপি ফুলের চারাগুলো উদ্ধারের পর তা ধ্বংস করা হয়েছে।
বগুড়ার মহাস্থান এলাকার সবুজ নার্সারি, দিয়া ও মালয়েশিয়ান নামের নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে এই পপি ফুলের চারাগুলো উদ্ধার করে।
নার্সারি মালিকরা জানান, এই পপিফুল থেকে যে হেরোইন বা মাদক তৈরি হয় সে বিষয়ে তাদের কোন কিছু জানা নেই।
সবুজ নার্সারির পরিচালক আবুল হাশেম তিতাস জানান, তার নার্সারিতে গত ১০/১৫ বছর ধরে পপি ফুলের গাছ চাষ ও বিক্রি করে আসছেন। এ গাছ থেকে হেরোইন তৈরি হয় কি না তা তাদের জানা ছিলনা। তবে ভবিষ্যতে কখনও আর পপি গাছ চাষ বা বিক্রি করবেন না।
নার্সারি শ্রমিক নুরুল ইসলাম জানান, পপি ফুলের চারা ৫ থেকে ১০ টাকা করে বিক্রি হয়। এটি ফুলের চারা হিসেবে বিক্রী হয়। পপি ফুলের চারা থেকে মাদক তৈরী হয়ে থাকে এমন ধরনের কোন খবর জানা নেই।
বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর শাহজালাল খান জানান, রোববার রাজশাহীতে পুস্পমেলা থেকে পপি ফুলের গাছ সম্পর্কে খোঁজ পাওয়া যায়। বগুড়া থেকে এই ফুলের চারা সেখানে পাঠানো হয়। সেই সূত্র ধরে বিকালে মহাস্থান এলাকার দিয়া নার্সারীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ টি, এরপর পার্শ্ববর্তী অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সবুজ নার্সারী থেকে প্রায় ১০০ টি পপি চারা গাছ এবং আজমল হোসেনের মালয়েশিয়া নার্সারী থেকে শতাধিক পপি গাছ উদ্ধার করা হয়।
নার্সারী মালিকরা জানিয়েছেন, তারা ফুল গাছের চারা হিসেবে বিক্রি করে আসছিল।
বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিলারা রহমান জানান, পপি গাছের ফল থেকে হেরোইন তৈরি হয়। তিনটি নার্সারী থেকে ৩ শতাধিক পপি গাছ উদ্ধার করে সেসব ধ্বংস করা হয়েছে। এসব গাছের বয়স প্রায় ১ মাস। পরবর্তীতে চাষ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বগুড়ার সবুজ নার্সারীর মালিক ও নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান জানান, রবিবার দুপুরে কয়েকটি নার্সারী থেকে পপি ফুলের চারাগুলো নিয়ে যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা। পরে সেগুলো ধ্বংস করে দেয়। পপি ফুল লাল ও হলুদ রঙের হয়ে থাকে। বগুড়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ফুলের চারা ফুল হিসেবে চাষ ও বিক্রি হয়ে আসছে। এটা দিয়ে অন্য কোন কিছু হয়ে থাকে তা জানা ছিল না।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান