১১ দিন পেরিয়ে গেলেও সিলেটের বিশ্বনাথে স্ত্রী লুবনাকে গলা কেটে হত্যাকারী স্বামী হেলাল মিয়াকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এমনকি হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্যও উদঘাটন হয়নি। এটা নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে, ঠিক তখনি ঘাতক হেলালকে ধরিয়ে দিতে পুলিশের আইফোন-৭ পুরস্কার ঘোষণা নিয়ে রীতিমত ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
গত দু’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কয়েকটি গণমাধ্যমে হেলালকে ধরিয়ে দিলে এই হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজান পুলিশের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের একটি আইফোন-৭ সেট ও লুবনার বোন জামাই মামুন নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন-এমন খবর প্রকাশ পায়। পুলিশের পক্ষ থেকে আইফোন-৭ পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। আর এতেই সৃষ্টি হয় ধুম্রজালের।
এসআই মিজান আইফোন-৭ পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি ভুয়া আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি কেন পুরস্কার ঘোষণা করব। থানা পুলিশ পুরস্কার ঘোষণা করলে সবার আগে তো আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানার কথা। তবে, এ ব্যাপারে লুবনার ছোটবোনের স্বামী মামুনের সাথে কথা হলে তিনি প্রথমে জানান, হেলালকে ধরিয়ে দিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজান আইফোন-৭ পুরস্কার দেবেন আর আমি দেব ৫০হাজার টাকা পুরস্কার।
আইফোন-৭ দেবার বিষয়টি এসআই মিজান অস্বীকার করেছেন জানালে মামুন বলেন, সংবাদপত্রে এসআই মিজান আইফোন-৭ পুরস্কার দেবেন শুনে আমিও ৫০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছি।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পুরস্কার ঘোষণা করা হয়নি। পুলিশ
হন্য হয়ে হেলালকে খুঁজছে। তাকে গ্রেফতার করলেই খুনের রহস্য জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রী লুবনা বেগমকে জবাই করে খুন করেন তার স্বামী হেলাল মিয়া। হেলাল উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত
জহুর আলীর ছেলে ও লুবনা দেওকলস ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মৃত ওয়াহিদ আলীর মেয়ে। ২০০৯ সালে পারিবারিকভাবে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। আল-আমিন (৯) ও নাজিফা বেগম (৩) নামে তাদের দু’সন্তান রয়েছে। ঘটনার তিনদিনের মাথায় লুবনার বড় ভাই কামরুল হুদা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা (নং ১৪) দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল