বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে সরকারি সড়কের ২৩টি ইউক্যালিপক্টর গাছ কতিপয় যুবক কেটে বিক্রি করার সময় জব্দ করা হয়েছে। আজ সকালে সহকারি কমিশনার ভূমি সুশান্ত কুমার মাহাতো গাছগুলো জব্দ করে। জব্দকৃত গাছগুলো ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে জমা রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের পানিতলা-ফুলপুকুরিয়া সড়কের হাটগাড়ী সরকারি সড়কের ইউক্যালিপক্টর ২৩টি মাঝারি আকারের বিক্রির উদ্যোগ নেয়। এ জন্য কয়েকজন যুবক বুধবার ভোর রাতে গাছ কাটা শুরু করে। গাছ কাটতে নিয়ে সকাল হয়ে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসী ও পানিতলা-পলাশি সড়কের বনায়ন সমিতির সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) বিষয়টি অবগত করেন। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাটা গাছগুলো উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
পানিতলা-পলাশি রাস্তা বনায়ন সমিতির সভাপতি ফেরদাউস হোসেন, সম্পাদক সেলিম জানান, বন বিভাগের আওতায় ৭ বছর আগে ৪ হাজার চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। তারা আরো বলেন, চন্দ্রহাট্টা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে হারুন সরকার, মোজাহার আলীর ছেলে নজরুল সরকার, আব্বাছ আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন, আয়েজ উদ্দিনের ছেলে গাজিউল ইসলাম ও ওমর আলীসহ আরো কয়েক জন রাতের আধারে গাছগুলো কাটতে শুরু করে।
তারা বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে এ গাছগুলো রোপন করা হয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে ওই গাছখেকো যুবকরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাগদা এলাকার এক ব্যক্তির কাছে রাস্তার পাশের ১৪৩টি গাছ ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে মুঠোফোনে হারুন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন গাছ কাটার সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তবে আমাকে ও আমার গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবককে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করার ষড়যন্ত্র করছে।
ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম রূপম বলেন, রাস্তার গাছ কেটে যারা বিক্রি করছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তির দাবি জানান।
শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুশাস্ত কুমার মাহাতো গাছ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দকৃত গাছের আনুমানিক মূল্য ১০ হাজার টাকা হবে। ঘটনাস্থল থেকে গাছ কাটার যন্ত্র করাত ও কুড়াল উদ্বার করা হয়েছে। এব্যাপারে বন বিভাগের কর্মকর্তারা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার