বগুড়ার চাষিরা টিস্যু কালচার প্রযুক্তির আলু বীজ ব্যবহার করে ভাল ফলন পেয়েছে। সেখানে বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৭০ মন আলু পাওয়া যায়। সেখানে টিস্যু প্রযুক্তির আলু বীজে এবার ৯৫ থেকে ১০০ মন পর্যন্ত আলুর ফলন পেয়েছে চাষিরা।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। আলু চাষের উপযোগি আবাহাওয়ার কারণে আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ভাল ফলন পাওয়া গেছে।
কারণ হিসেবে কৃষি অফিস বলছে, চাষীরা টিস্যুকালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ আলু জমিতে লাগিয়েছেন। উচ্চফলনশীল বলে লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জিত হয়েছে। বেসরকারি কোম্পানি ব্র্যাক সিড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ এমএ মুনছুর লিয়ন জানান, টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত তাদের আলু বীজ রোগ ও পোকামাকড় সহনশীল এবং ভাইরাস মুক্ত। তাই তেমন কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। এছাড়া বাজারে প্রচলিত বীজ আলুর তুলনায় অধিক ফলনশীল। একর প্রতি ১২-১৬ মেট্রিকটন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে বলে দাবী করেন।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিবছরই কমবেশি আলু চাষ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে ৩০বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছেন। সব জমিতেই টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত আলু বীজ রোপণ করেন। ইতিমধ্যে জমি থেকে আলু উত্তোলন শুরু করেছেন। প্রতি বিঘায় আলু তিনি পেয়েছেন ৯৫ থেকে ১১০ মন করে। এবার আলুর দাম কম। প্রতিকেজি গ্রানোলা আলু কোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ তেকে ১৪ টাকা কেজি। আলু দাম খাতলে ভাল আয় করা যেত। গত বছরও আলু চাষিরা দাম পায়নি।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জামুন্না হাটখেলা এলাকার আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন বলেন, ইতিপূর্বে বাজারের প্রচলিত বীজে আলু চাষ করে তিনি ফলন পেয়েছিলেন বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ মণ। আর টিস্যু কালচার পদ্ধতির বীজে এবার ৪০বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন তিনি। প্রতি বিঘায় ফলন হচ্ছে ১১৫মণ হারে। তিনি বলেন, এর আগে বিঘা প্রতি এত পরিমান আলু তিনি পাননি।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর