ফেসবুক আজ আমাদের শুধু যোগাযোগ রক্ষা করা ও ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা ছাড়াও প্রায় দিচ্ছে বিভিন্ন মজাদার গেইম ও কুইজ খেলার সুযোগ। ফেসবুকের একটি অ্যাপের মধ্যেই থাকছে অসংখ্য ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপপের মাধ্যমে ছোট ছোট গেম খেলার সুবিধা। বিনোদনের জন্য আমরা প্রায় প্রতিদিনই একবার হলেও এসব গেম খেলে থাকি কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই গেমগুলো খেলা কি আসলেও নিরাপদ?
ফেসবুকের ভিতরেই থাকা এসব অ্যাপগুলোকে বলা হয় থার্ড পার্টি অ্যাপ। বিনোদনের জন্যই যখন আমরা ফেইসবুকে লগইন থাকা অবস্থায় এসব অ্যাপে প্রবেশ করি এবং কোনো গেইম এবং কুইজ খেলি তখন এই অ্যাপগুলো পেয়ে যাচ্ছে আমাদের ফেসবুকে থাকা সব ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য। এসব তথ্য পরে পাচার করা হয় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে যেখানে এগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। কখনো এই তথ্যগুলোর ব্যবহার হয় ইতিবাচক, কখনো বা নেতিবাচক। ব্যবহার যেমনই হোক, কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য কোনো অনুমতি ছাড়া আত্মসাৎ করা নৈতিক অপরাধ। থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারদের তথ্য আত্মসাৎ করার এই প্রচলন সময়ের সাথে আরো গুরুতর হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিপজ্জনক অ্যাপ চিনবেন কীভাবে। সহজ কয়েকটি উপায় আছে। একটু খেয়াল করলেই আপনি বিপজ্জনক অ্যাপ সহজেই চিনে নিতে পারবেন। আসুন উপায় জেনে নিন-
১। অ্যাপ ডাউনলোডের আগে তার রিভিউ, রেটিং ও ডাউনলোড কাউন্ট মিলিয়ে নিলে একটা সম্ভাব্য ধারণা মিলবে। কোন অ্যাপ কবে পাবলিশ হয়েছে, তা-ও জেনে নেওয়া প্রয়োজন। অ্যাপ ডাউনলোডের আগে দেখে নিন স্ক্রিনশটগুলো। সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লে অ্যাপ থেকে দূরে থাকুন।
২। বৈধ অ্যাপের ডাউনলোড সংখ্যা লাখ লাখ এমনকি কোটি কোটি হতে পারে। যদি আপনি এমন একটি জনপ্রিয় অ্যাপ দেখেন যেখানে মাত্র কয়েক হাজার ডাউনলোড হয়েছে, তাহলে সেটি ভুয়া হতে পারে।
৩। যে কোন অ্যাপ আপনার ফোনে কী কী পারমিশন চাইছে, তা দেখেও ভুয়ো অ্যাপ চেনা যাবে। কোনো অ্যাপ অপ্রয়োজনীয় ক্যামেরা, অডিও, লোকেশন, ফোন কল অথবা অন্য যে কোনো পারমিশন চাইলে তা ভুয়ো অ্যাপ হতে পারে। কারণ সেগুলো দিয়ে সাইবার প্রতারণার আশঙ্কা থাকে।
৪। গুগল প্লে প্রোটেক্ট-এর সাহায্যে অ্যাপ এবং ডিভাইসকে ম্যালওয়ারের বিপদ থেকে বাঁচাতে পারেন। সে জন্য প্লে স্টোর অ্যাপের প্রোফাইল আইকনে গিয়ে প্লে প্রোটেক্টে ট্যাপ করুন, সেটিংসে প্লে প্রোটেক্ট দিয়ে স্ক্যান অ্যাপ চালু করুন। নিজের ডিভাইসটি ‘ভেরিফাই’ সার্টিফায়েড করে নিতে পারেন। এজন্য গুগল প্লে স্টোর খুলুন। উপরের ডান দিকে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন। এর পর সেটিংসে যান এবং আপনার ডিভাইসটি প্লে প্রোটেক্ট সার্টিফাইড কি না, তা পরীক্ষা করুন।
৫। ডাউনলোডের আগে অ্যাপের বিবরণ ভালোভাবে পড়ে নিন। বৈধ অ্যাপ ডেভেলপাররা সাধারণত তাদের অ্যাপের বর্ণনায় টাইপিং ভুল এবং ত্রুটি এড়াতে যত্নবান হন। যদি আপনি অ্যাপের বিবরণে ব্যাকরণগত ত্রুটি লক্ষ্য করেন, তাহলে সাবধানে পদক্ষেপ নিন। এটি ভুয়া অ্যাপ হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ