ধামরাইয়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বড় মাটিয়া গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে ঝরনা খাতুনের সাথে এক বছর আগে বিয়ে হয় ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের কুশিয়ারা গ্রামের শাহাদাৎ এর সাথে। বিয়ের কয়েক মাস পরেই যৌতুকের টাকার জন্য নববধূ ঝরনা আক্তারকে প্রায়ই মারধর করতো স্বামী শাহাদাৎ মিয়া। পরে গত ৬ মাস আগে ওই নববধূকে বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দেয় স্বামী শাহাদাৎ। এ সময় ওই নববধূ যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে।
ঘটনায় ১০ দিন পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় শাহাদৎ হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার পিবিআই এর উপর অর্পিত হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক নুর নবীসহ উত্তরা পিবিআই এর অন্য সদস্যরা সাভারে গেন্ডা, নামা বাজার ও নাটরের সিংড়া এলাকার অভিযান চালায়। এতে প্রথমে শাহাদৎ হোসেনকে এবং পরে অন্য আসামিদের গ্রেফতার করে।
ওই নববধূর বাবা রওশন আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার মেয়েকে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে বংশী নদীতে ইট পাথর বেঁধে ফেলে দেয় তার স্বামী।
পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা নুরনবী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঝর্নার হত্যা মামলার প্রধান আসামি ধামরাই কুশিয়া আরা এলাকার সাত্তারের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২২) নাটরের সিংড়া এলাকার তোতা মিয়ার বাড়ি থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাইদুল ইসলাম, মোস্তফা ও এর আগে আমেনা আক্তার সহ ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঝরনা হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত নিহতের মোবাইলসহ বিভিন্ন মামালাল উদ্ধার করেছে পিবিআই পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/১৯ মার্চ ২০১৮/হিমেল