ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়া এলাকায় লিপা আখতার (২৭) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপরদিকে গৃহবধূকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। আজ নারগুন ইউনিয়নের কহপাড়ায় এলাকায় গৃহবধূর শশুড়বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিপা আখতার দেবিপুর ইউনিয়নের খলিলুর রহমানের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী ইউসুফ আলী ও তার পরিবারের সদস্য পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ বছর আগে নারগুন ইউনিয়নের ইউসুফ আলীর সাথে দেবিপুর ইউনিয়নের খলিলুর রহমানের মেয়ে লিপা আখতারের সাথে বিবাহ হয়। এরপর থেকে মেয়ের উপর শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। লিপা আখতারের ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে।
গৃহবধূর বাবা খলিলুর বলেন, আমার মেয়ে কোনদিন আত্নাহত্যা করতে পারে না। কারণ তার একটি ছোট বাচ্চা আছে। তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেই সাথে মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চান।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। তবে হত্যার করা হয়েছে এমন কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার