মেধাবী শিক্ষার্থী মোসা. ফাতিমা জিনাত মিম বিরল রোগে আক্রান্ত। তার চোখ, কান, নাক ও নাভি দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাচঁজুনিয়া গ্রামের মামুন হাচানের একমাত্র মেয়ে জিনাত।
২০১৬ সালের ৪ আগষ্ট প্রথম বারের মতো হঠাৎ করে ডান চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ ও প্রচন্ড বমি হয় জিনাতের। এর ফলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।এ অবস্থা দেখে তার পিতা ক্ষ্যাতনামা ডাক্তারদের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসায় উন্নতি না হয়ে একই ভাবে ৭ মাস পর তার ডান নাক, ডান কান, নাভি ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ঔষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে একমাত্র কন্যা সন্তানের এমন চিকিৎসা ব্যয়ের অর্থ যোগান দিতে না পেরে জিনাতের পিতা এখন দিশেহারা হয়ে পরেছেন।
জিনাতের বাবা মামুন হাচান কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, ডাক্তাররা বলেছে হিমোল্যাক্রিয়া (heamolacria) নামের একটি বিরল রোগে তার মেয়ে আক্রান্ত। তথ্য মতে, সাড়া বিশ্বে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মাত্র ১৩ জন। যার মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছে। বাংলাদেশে বিরল এ রোগের একমাত্র ভিকটিম জিনাত। তিনি বলেন, তার যতটুকু সামর্থ ছিল ব্যয় করে ওর চিকিৎসা করিয়েছেন।
জিনাত ছোট বেলায় নানা বড়ি থাকার সুবাদে গলাচিপা গার্লস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। এর পর হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণিতে জিপি এ-৫ পায়। ২০১৬ সালে একই বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে জিনাত নারায়নগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি হয়ে লেখা পড়া শুরু করে।
মেধাবী শিক্ষার্থী জিনাত বলেন, ডাক্তার বলেছে- যত দ্রুত সম্ভব আমাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে। এ দেশে এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে আমি বাঁচতে চাই।
কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল আফিসার ডাক্তর জুনায়েত খান লেলীন জানান, এ রোগটি খুবই রেয়ার। চিকিৎসাও ব্যয় বহুল। তবে ভালো মানের চিকিৎসা দেশে নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার