দুইদিন আগে একটি মেছো বাঘকে পিটিয়ে হত্যার পর এবার আরেকটি মেছো বাঘ আটক করেছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের মিটাইন গ্রামবাসী।
বৃহস্পতিবার ভোরে মিটাইন গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে মেছো বাঘটিকে আটক করা হয়। সাথে থাকা আরো দুটি মেছো বাঘ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটক মেছো বাঘটিকে বন বিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বাগাট ইউনিয়নের ঘোপঘাট এলাকা থেকে একটি মেছো বাঘকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে তারা মেছো বাঘটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় গ্রামবাসী তিনটি মেছো বাঘ দেখে তাদের ধরার জন্য তাড়া করে। এতে একটি মেছো বাঘ পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। অন্য দুটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে স্থানীয়রা বিশেষ কায়দায় মেছো বাঘটিকে পানি থেকে আটক করে পিটুনী দেয়। এতে মেছো বাঘটি কিছুটা আহত হয়। পরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে খবর দেয়া হলে সে এসে চিকিৎসা দিয়ে মেছো বাঘটিকে সুস্থ্য করে তোলে। দুপুরে ফরিদপুর বন বিভাগের কর্মীরা মেছো বাঘটিকে তাদের জিম্মায় নিয়ে আসে।
বাগাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রব জানান, মিটাইন পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে মেছোবাঘটিকে আটক করা হয়। তিনটি মেছোবাঘের মধ্যে বড় ও ছোট একটি পালিয়ে যায়। দুটি মেছোবাঘ পালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।
মধুখালী উপজেলা বন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, খবর পাওয়ার পর পরই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখান থেকে মেছোবাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তিনি আরও জানান, পালিয়ে যাওয়া মেছোবাঘ দুটিকে আটক করতে অভিযান চালানো হবে।
ফরিদপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, আটক মেছোবাঘটি উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। মেছো বাঘ মানুষের তেমন কোনো ক্ষতি করে না। সাধারনত মাছ, মুরগি এগুলো খায়। রাতের যেকোন সময়ে মেছো বাঘটিকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন