দীর্ঘদিন ধরে একশ্রেনীর বালু ব্যবসায়ী চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর চকরিয়া অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এই বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বালু উত্তোলন করা নদীর তলায় ৩০-৪০ ফুট গভীর হয়ে চোরাবালির সৃষ্টি হচ্ছে। এই চোরাবালিতে আটকে প্রায়শই অকালে প্রাণ হারাচ্ছে নদীতে গোসল করতে নামা শিশু-কিশোররা।
আজ চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাতামুহুরী নদীর ব্রিজ পয়েন্টে অভিযানে যায়।
এসময় তিনটি শ্যালো মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ জব্দ করে প্রশাসন। তবে কাউকে আটক করেত পারেনি। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাথে ছিলেন চকরিয়া থানার এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও ভূমি অফিসের সহকারী তপন কান্তি পাল।
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, মাতামুহুরীর নদীর ব্রিজ পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালায়। এসময় ওইসব স্থান থেকে তিনটি মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে আর কাউকে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবেনা। যারা এসব কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণীর বালু খেকোর দল মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। বিশেষ করে রাত হলেই চলে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে চোরাবালির সৃষ্টি হয়েছে এবং ওইসব স্থানে পানির গভীরতাও বেশি। সম্প্রতি মাতামুহুরী নদীর ব্রীজ পয়েন্ট এলাকায় নদীতে নামলে চোরাবালিতে আটকে পাঁচজন মেধাবী ছাত্র প্রাণ হারায়।
তারা আরো জানান, প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দিনের বেলায় মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে রাত হলেই ওইসব বালু গাড়ি ভর্তি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। যেসব স্থান থেকে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয় সেসব স্থানে পানির গভীরতা বেশি। পাশাপাশি চোরাবালিও রয়েছে। যার কারণে চোরাবালিতে আটকে প্রাণ হানির মতো ঘটনা ঘটেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার