মনপাল। একটি মাঝারি জনসংখ্যার গ্রাম। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এই গ্রামে এবার ৪২টি গরু কোরবানি করা হয়। কোরবানির মাংস বিতরণে এখানে ব্যতিক্রম উদ্যোগ দেখা গেছে। এক যুগ ধরে মনপাল গ্রামে এই ব্যবস্থা চলে আসছে। গ্রামের মধ্যমপাড়া হাজী মার্কেটে সবাই মাংস এনে একত্র করেন। গ্রামের নেতৃবৃন্দ সেখান থেকে গ্রামের দুঃস্থ মানুষের তালিকা করে সমানভাবে মাংস বিতরণ করেন।
সূত্র জানায়, ৪২টি গরু থেকে দরিদ্রদের জন্য পাওয়া যায় ৫৩২কেজি মাংস। মাংসগুলো আড়াই কেজি করে ২১৬জন দরিদ্রের মাঝে বিতরণ করা হয়।
গ্রামের সমাজ সেবক ওবায়দুল হক মজুমদার বলেন, আগে সব কোরবানিদাতা বিচ্ছিন্নভাবে মাংস বন্টন করতেন। কেউ কম পেতো কেউ বেশি পেতো। কেউ হয়তো বা পেতোই না। হাজী আনা মিয়া, রহমত উল্লাহসহ গ্রামের মুরব্বিরা মিলে এই ব্যবস্থা চালু করেন। বর্তমানে সাবেক মেম্বার মিজানুর রহমান, আবদুল গণি, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল মান্নান, বেল্লাল হোসেনসহ তরুণ সমাজ মিলে এই কাজ স্বেচ্ছাশ্রমে তদারকি করে আসছেন। এইভাবে বিলি হওয়ায় কোনো বিশৃংখলা সৃষ্টি হচ্ছে না।
মাংস নিতে আসা রফিকুল ইসলাম নামের একজন জানান, কোরবানি দেয়ার সামর্থ নেই। আগে ঠিক মতো মাংস পেতাম না। কখনও মাংস পেতে রাত হয়ে যেতো। এখন এক সাথে বিকালের মধ্যে মাংস পেয়ে যাই।
গ্রামের ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, এক যুগ ধরে চলে আসা রেওয়াজটি আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। মুরব্বিদের চালু করা ব্যবস্থা বিভিন্ন গ্রামে প্রশংসিত হচ্ছে। অন্যরাও মাংস বিতরণে এই ব্যবস্থা চালু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/ ২৩ আগস্ট ২০১৮/ ওয়াসিফ