কক্সবাজার পৌরসভায় কোরবানির পর সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সড়কে সড়কে পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সংগঠনটির এ উদ্যোগ মুগ্ধ করেছে স্থানীয়দের। সংগঠনটির নেতারা বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে উপসড়কগুলোতে বর্জ্য অপসারণ করে। কোথাও সকালে, কোথাও বিকেলে। ততক্ষণে সবখানে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ। এ জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জানান, কোরবানির ঈদের দিন পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক কিলোমিটার সড়কে কোরবানির পশুবর্জ্য অপসারণ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ঈদের দিন কক্সবাজার পৌরসভার সড়কে দেখা যায়, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পশুবর্জ্য অপসারণ করছেন। কেউ দূরের নলকূপ থেকে বালতিতে করে পানি এনে সড়কের ওপর ঢালছেন। আর কয়েকজন সড়কের পশুর রক্ত পরিষ্কার করছেন। কেউ ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে সড়ক দুর্গন্ধমুক্ত করার চেষ্টা করছেন।
জেলা ছাত্রলীগের উপদফতর সম্পাদক মইন উদ্দিন আহমেদ বলেন, শহরের সংকীর্ণ এলাকায় পশু জবাই হয়েছে রাস্তার ধারে, পথের ওপর। কক্সবাজার পৌর শহরেও তাই। বর্জ্যগুলো তৎক্ষণাৎ অপসারণ হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপ বাড়ায় দুর্গন্ধ ছড়ানো শুরু করে বর্জ্যগুলো। এতে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছিল। তাদের দুর্ভোগ কমাতেই তাই এগিয়ে আছে ছাত্রলীগ।
কক্সবাজারের পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ পশুবর্জ্য অপসারণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পর্যটন নগরীর বাসিন্দা হিসেবে নিজ এলাকা পরিষ্কার রাখতে পৌরসভার পাশাপাশি নিজেদেরও যে দায়িত্ব রয়েছে, সেটাই তারা প্রমাণ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা