বরগুনা জেলার পাথরঘাটা সংলগ্ন সুন্দরবনের বলেশ্বর নদীর নলীর খাল এবং বকুলতলা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাব-৮। গত শুক্রবার গভীর রাতে আটক করা হয় তাদের। এসময় ৩টি বিদেশি বন্দুক, ১৪ রাউন্ড গুলি, ৩টি ধারালো অস্ত্র এবং গুলি রাখার ৪টি বান্ডুলিয়া উদ্ধার করা হয়।
শনিবার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৮ জানায়, ইলিশ মৌসুম ঘিরে জলদস্যুরা সুন্দরবনে সংঘটিত হচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে র্যাবের একটি বিশেষ দল গত শুক্রবার রাতে সুন্দরবনের বলেশ্বর নদীর নলীর খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত জলদস্যু ‘ছোট ভাই বাহিনীর’ বাহিনীর ৩ সক্রিয় সদস্যকে আটক করে।
এরা হলো বাগেরহাটের রামপাল থানার কাঠালী গ্রামের ইউনুস আকন্দের ছেলে এমদাদুল আকন্দ (২৫), একই থানার বড়কাঠালী গ্রামের বাবুল খানের ছেলে মো. ইমরান খান (২৮) ও একই জেলার মোংলা থানার সোনাইতলা গ্রামের আবু হাসান সরদারের মো. হাসমত আলী (৩৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশে তৈরি ২টি একনালা বন্দুক, ১০ রাউন্ড গুলি, ২টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, গুলি রাখার ৩টি বান্ডুলিয়া।
এই অভিযানের পরপরই র্যাবের ওই দলটি বলেশ্বর নদী সংলগ্ন বকুলতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মো. রুমি শেখ (২৮) নামে আরেক জলদস্যুকে আটক করে। আটক রুমি মোংলা থানার নারকেলতলা গ্রামের মৃত গফ্ফার শেখের ছেলে এবং কুখ্যাত জলদস্যু ‘ছাত্তার বাহিনীর’ বাহিনী সক্রিয় সদস্য বলে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ সময় আটক রুমির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশে তৈরি একটি একনালা বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি ধারালো অস্ত্র এবং গুলি রাখার ১টি বান্ডুলিয়া।
পৃথক অভিযানে অস্ত্রসহ আটক জলদস্যুদের পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব।
বিডি প্রতিদিন/১ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল