নাটোরের কাদিরাবাদ স্যাপার কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ইমন হোসেন ওরফে রকিবুলকে পুলিশ রাজশাহীর বাগমারা থেকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার দুপুরে শ্রীবতী পাড়ার মোঃ ওবাইদুর রহমানের ছেলে রকিবুলকে বাগমারার শ্রীবতী পাড়া এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাগাতিপাড়ার কাদিরাবাদ স্যাপার কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে গত বছরের ১৭ জুলাই তার সহপাঠীরা নেশা জাতীয় খাবার খাইয়ে অচেতন করে বোরকা পরিয়ে একটি ছাত্রী হোষ্টেলে নিয়ে যায়। এরপর ওই ছাত্রীকে নাটোরের লালপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মহরম আলী ছেলে তুষার আলী, নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব মাধনগর এলাকার মোঃ আব্দুস সালামের ছেলে তুষার ইমরান এবং বাগমারার শ্রীবতীপাড়ার ইমন হোসেন ওরফে রকিবুল ধর্ষণ করে। আর ওই সময় মোবাইল ফোনে এ ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে ওই কলেজ ছাত্রীর সহপাঠী নাটোরের লালপুর উপজেলার এন্তাজ আলীর মেয়ে মেঘলা খাতুন ওরফে সাফিয়া।
ওই ভিডিও দেখিয়ে ছাত্রীটিকে ব্লাকমেইল করে আরও দুইদিন গণধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর ভিকটিমের মা রাশিদা খাতুন বাগাতিপাড়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ঘণধর্ষণের মামলা করেন। পরে মামলার প্রধান আসামি তুষার আলীকে একটি বিদেশী পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ র্যাব গ্রেফতার করে। এছাড়াও গ্রেফতার হয় মেঘলা খাতুন সাফিয়া এবং তুষার ইমরান। তাদের মধ্যে লালপুর উপজেলার এনতাজ আলীর মেয়ে মেঘলা খাতুন সাফিয়া জামিনে রয়েছে। মামলাটি এখন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ জানান, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রকিবুল এক বছরেরও বেশী সময় ধরে পলাতক ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন