পাবনার সাঁথিয়ার নাগডেমরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার কন্যা কলেজছাত্রী মুক্তি খাতুনকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার সকালে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর আল বদর রাজাকারদের বংশধররা প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন দিয়ে, মুক্তি খাতুনকে পুড়িয়ে মেরেছে। ঘটনার ১৩ দিনেও পুলিশ ঘটনার মূল হোতা আব্দুস সালাম ও জাহেদ ডাক্তারকে গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুততম সময়ে মুক্তির খুনীরা গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা ইউনিটের কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডারসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল বাতেন বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের শরীরে পেট্রোল ঢেলে অগুনে পুড়িয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হলে মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ১৯ আগস্ট দুপুরে আব্দুস সালাম ও জাহেদ ডাক্তারের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মুক্তি খাতুনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১টার দিকে মারা যান তিনি ।
বিডি প্রতিদিন/১ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল