পাবনার চাটমোহরের চলনবিলে ঘুরতে এসে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
উদ্ধারকৃতরা হলো ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণির স্ত্রী মমতাজ পারভীন শিউলীর (৪৫), একই এলাকার মোশাররফ হোসেন মুসার স্ত্রী শাহানাজ পারভীন পারুল (৪৫) ও স্বপন হোসেনের মেয়ে সাদিয়া খাতুন।
নিখোঁজ দুইজন হলেন শিউলীর স্বামী বিল্লাল হোসেন গণি ও ঈশ্বরদী আমবাগান এলাকার সাইদুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম স্বপন বিশ্বাস (৪৪)। গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে চলনবিল ঘুরে তারাশ থেকে ফেরার পথে জেলার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালের পাইকপাড়ায় ২২ জন বোঝাই এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বলেন, ঈশ্বরদী থেকে ২২ জনের একটি দল চলনবিল এলাকায় পিকনিকের উদ্দেশ্যে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়ালব্রিজ থেকে একটি নৌকা ভাড়া করেন। দিনভর বিল অঞ্চলে ঘুরে সন্ধ্যায় তারাশ থেকে ফেরার পথে রাত ৮টার দিকে চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল বিল এলাকার নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকা যাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের নৌকা ও লোকজন ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার করে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও পাবনা ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে স্থানীয়ভাবে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। পরে রাত বারটার দিকে রাজশাহী থেকে ডুবুরী দল এসে পানিতে নামে। রাত দেড়টার দিকে মমতাজ পারভীন শিউলীকে উদ্ধার করা হয়। পরে শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ঈশ্বরদীর মোশাররফ হোসেন মুসার স্ত্রী শাহানাজ পারভীন পারুলের (৪৫) এবং দুপুরে শিশু সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরি দলের প্রধান মো. নূরন্নবী বলেন, বিলের এই ক্যানেলটিতে স্রোত থাকায় মৃতদেহ ভেসে গেছে মনে হচ্ছে। আমরা ভাটিতেও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। হয়তো পেয়ে যাবে বাকিদের।
পাবনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের উপ পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা সাধ্যমতো নৌকা ডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি। আশা করি সব উদ্ধার করা যাবে। ইতিমধ্যেই আমরা বিলের পানির মধ্যে নৌকাটির অবস্থান পেয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/১ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল