হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ফিকলের আঘাতে ছুনু মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলার আলীনগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ছুনু মিয়া ওই গ্রামের আশ্বব উল্ল্যাহর ছেলে। এ সময় দু’পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় ছুনু মিয়ার ভাই নুহু মিয়া এবং মা রাবেয়া খাতুন আহত হন। তাদরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, চুনারুঘাট উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত আলীনগর গ্রামে শনিবার সকালে ছুনু মিয়ার জমিতে ওই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জাহিদুল এবং আজিজুলের গরু ধান খায়। এ সময় ছুনু মিয়া বাধা দেন এবং গরুর মালিককে বকাঝকা করেন। জাহিদুল এবং আজিজুল তাদের গরু বাড়িতে নিয়ে এলেও অপেক্ষায় থাকেন ছুনু মিয়া কখন বাড়িতে ফিরবে। দুপুরে ছুনু মিয়া জমি থেকে বাড়িতে যাবার সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জাহিদুল এবং আজিজুল তাদের লোকবল নিয়ে ছুনু মিয়ার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় ছুনু মিয়াকে ফিকল দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। ছুনু মিয়ার মা রাবেয়া খাতুন ও ভাই নুহু মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও আঘাত করে প্রতিপেক্ষর লোকজন। এতে তারা গুরুতর আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহিদুল এবং আজিজুলসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যার যে কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। ভিকটিম ছুনু মিয়া জাহিদুলের বাড়ির সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারী খুললে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ছুনু মিয়া জাহিদুলকে আঘাত করলে পরে তার লোকজন হামলা করে। সংঘর্ষে ছুনু মিয়া মারা যায়। ৫ জনকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়েছে। আরও আসামী ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
হাসপাতালে থাকা ছুনু মিয়ার মা রাবেয়া খাতুন জানান, গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে তার ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করেছে। তিনি সন্তান হত্যার বিচার চান।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান