ময়মনসিংহে ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রী মৃত্যুর প্রতিবাদে মানববন্ধনে কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। চিকিৎসকের অবহেলায় পৃথিবীর মায়াজাল ছেড়ে চলে যাওয়া শিশু রাফিয়ার জন্য এই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় নগরীর ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী সুচিকিৎসার জন্য সংগ্রাম ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কবিতা ছাড়াও বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা ও রাফিয়া হত্যার ঘটনায় দ্রুত জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
এছাড়াও মানববন্ধন থেকে চিকিৎসা ট্রাইব্যুনাল গঠন, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে কঠোর আইনের অাওতায় আনা, নতুন রোগীর জন্য ২০০ ও পুরাতন রোগীর জন্য ১০০ টাকা এবং একজন চিকিৎসককে প্রতিদিন ২০ জন রোগী দেখাসহ ১৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিস্ট পার্টির ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি এমদাদুল হক মিল্লাত, ফারুক খান পাঠান, আলী ইউসুফ, ইসমাইল হোসেন তপন, সারোয়ার চৌধুরী রাফিয়ার শিক্ষক মিশু দত্তসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ময়মনসিংহ শহরের প্রগ্রেসিভ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী রাফিয়া মাহমুদা মৃত্যুর ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতাল শিলাঙ্গন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
গত ২৬ আগস্ট শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কথা শিল্পী মাহমুদ বাবুর শিশুকন্যা রাফিয়ার তলপেটে ব্যথা হলে বিকেল ৩টায় জরুরি ভিত্তিতে গাইনী চিকিৎসক ডা. শিলা সেনের পরামর্শে তারই ব্যক্তিগত ক্লিনিক শিলাঙ্গনে ভর্তি করেন। সেখানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন ভূইয়ার নির্দেশে দুই দিনব্যাপী রাফিয়ার নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৮ আগস্ট রাফিয়ার এপেন্ডিসাইডসের রোগ ধরা পড়ে। এরপর ওইদিন ভোর ৬টায় তার অপারেশন হয়। অপারেশনের পর রাফিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাকে পাশের একটি ক্লিনিকের আইসিইউতে ভর্তি করে। কিছুক্ষণ পর মৃত ঘোষণা করা হয় রাফিয়াকে। রাফিয়া নগরীর একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
বিডি প্রতিদিন/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল