দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আসন্ন পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ বিষয়ক প্রস্তুতি সভা থেকে ৫ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশী হামলায় ৭ কর্মী আহত এবং ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ধলু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সনকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সভা চলাকালীন সময়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এ ঘটনায় বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু নিন্দা জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (৬০), একই গ্রামের মো. মুসার ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন (৩২), মো. নছিম উদ্দিনের ছেলে মো. ইদ্রিস আলী (৪৫), একই এলাকার বাজিতপুর গ্রামের তফুর উদ্দিনের ছেলে খয়রাত আলী (৪৫), সনকা গ্রামের মো. মুসার ছেলে মো. দুরুল (৩৫)।
বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু জানান, উপজেলার ৪নং পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে ৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ কারণে সকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন সভা থাকায় সন্ধ্যার আগে সভা আহবান করি। সনকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা সভা চলছিল। সভার শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করে অর্ধ শতাধিক পুলিশ আমাদের ঘিরে ফেলে হামলা চালায় এবং ৫ জন কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। হামলায় কমপক্ষে ৭ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
তবে হামলার কথা অস্বীকার করেছে বীরগঞ্জ থানার ওসি সাকিলা পারভিন জানান, নাশকতার গোপন বৈঠকে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৫ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর শপথ নিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে আগেই মৃত্যুবরণ করেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. তাবার হোসেন। পরে উপ-নির্বাচনে বিএনপি হতে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হন প্রয়াত মো. তাবার হোসেনের ছোট ভাই আমেরিকা প্রবাসী মো. তছলিম উদ্দিন। তিনি পদত্যাগ করায় নির্বাচন কমিশন পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শুন্য ঘোষণা করে ২ সেপ্টম্বর উপ-নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন। তফশিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিল এবং ৩ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল