গাজীপুরে পুরাতন জেএমবির প্রধান সমন্বয়কের সাথে মিটিং করে বগুড়ায় ফেরার পথে দু'টি বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ জেএমবির শীর্ষস্থানীয় দুই নেতাসহ সামরিক শাখার পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতারের করে।
আজ বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বিপিএম এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের ইনটেলিজেন্স শাখা ও বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে গত মঙ্গবার দিবাগত রাত দেড়টায় বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের রানীহাটের এক দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিদেশী ৭.৬৫ এম এম পিস্তল ও একটি ৯ এম এম পিস্তল, ২ টি ম্যাগজিন, ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলী, ৩ টি বার্মিজ ছোরা, ১ জোড়া হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করে। বিদেশী পিস্তল দুটি সচল রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পুরাতন জেএমবির সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃতরা হলো জামালপুর জেলার বড়ইকুড়া গ্রামের মৃত লোকমান আলীর ছেলে শহিদুল্লাহ ওরফে মাসুম ওরফে গোপাল (৪৬)। সে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ইছাবার প্রধান পুরাতন জেএমবি’র আছির (জেলবন্দি) বিভাগীয় প্রধান, রাজশাহী বিভাগীয় ইছাবা (সামরিক) প্রধান রাজশাহী জেলার বেলপুকুরের আকবর আলীর ছেলে বুলবুল ওরফে সোহাগ (৩২), এই দুই শীর্ষ নেতার সাথে গ্রেফতার হয়েছে একই এলাকার একরামুল হকের ছেলে ইছাবা সদস্য মাসুদ রানা (৩১), রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার আস্কোরপুর এলাকার শ্রী উৎপল হাজরার পুত্র নবমুসলিম আতিকুর রহমান ওরফে সৈকত (৩৩) এবং একই এলাকার ইছাবা সদস্য মৃত আবু তালেবের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫) ওরফে দর্জি মিজান।
বগুড়া পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, তারা কয়েকদিন আগে গাজীপুরে পুরাতন জেএমবির প্রধান সমন্বয়ক ও শুরা সদস্য খোরশেদ আলম মাস্টারসহ কয়েকজনের সাথে সাক্ষাত করেছে। সেখানে তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করে। সাক্ষাতে উত্তরাঞ্চলের জেএমবির বর্তমান কার্যক্রম, পরিকল্পনা বিষয়ে তারা আলোচনা করে বগুড়ায় ফিরছিল। ফেরার পথে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত বুলবুল, মাসুদ, আতিকুর ও দর্জি মিজানের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার মতিহার থানায় ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ডাকাতির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে তিনি জানান। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে শেরপুর থানায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার