প্রতি বছরই ভাঙছে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়া, চর ঘাশিয়া ও চরলক্ষ্মী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী। ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত এক সপ্তাহে ৩’শ বসতঘর ও ৪টি মাছের আড়ৎ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে চরাঞ্চলের লোকজন প্রতিনিয়ত ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে আতঙ্কের মাঝে বসবাস করছে। অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে ফসলি ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গৃহহারা এ মানুষগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এ বছর বর্ষার মৌসুমে কয়েক শতাধিক একর ফসলি জমি, বাগান, ও কয়েক’শ বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভূমিহীন হয়েছে প্রায় ৫০০ পরিবার। মেঘনার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে নদীর দুই পাড়ের বিস্তীর্ণ জনপদ ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চরাঞ্চলের কয়েকজনের মাছের আড়ৎসহ বেশ কয়েকটি দোকান মেঘনার ভাঙনে চিরতরে তলিয়ে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব। কোথাও যায়গা না পেয়ে বসতভিটা হারিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ মিন্টু ফরাজী জানান, ‘চরকাছিয়া ও চরলক্ষ্মী গ্রামের নুর মোহাম্মদ, নাজিম উদ্দীন মাঝি, মোস্তফা বেপারী, রশিদ হাওলাদার, কালু বেপারী, বাবুল গাইন, মাইনুদ্দিন, কাউছার, শাহ্-আলম বেপারীসহ ১০০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি গত এক সপ্তাহে নদীতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে খাজা হাওলাদার, দুলাল মোল্যা, রোজেন, ইসমাঈল, ইমাম হোসেন সহ ৮০টি পরিবারের বসতভিটা। ভূমিহীন হয়েছে কমপক্ষে ৫০০টি পরিবার। এখন হুমকিতে আছে আরও সমপরিমান পরিবার। স্থানীয় সাংসদ ও সরকারের অনেক কর্মকর্তা সরেজমিন নদী ভাঙনের চিত্র দেখেছেন। কিন্তু ভাঙনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি’।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ