বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে যেসব সফলতা, অবদান ও কৃতিত্ব রয়েছে তার সবকিছু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দৃশ্যমান পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার একক সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল। মন্ত্রী হিসাবে তিনি অত্যন্ত সংকটে দায়িত্ব দিয়েছিলেন আমাকে। তখন বিশ্ব ব্যাংক সেতু নির্মাণে সরে গিয়েছিল। আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি আমার লীডার এবং পার্টি সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি একা নই, এখানে একটি টিম কাজ করেছে। যেমন সচিব, পিডি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, উভয় পাড়ের জনগণ, সাংবাদিক, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আনসারদের মূল্যবান অবদান ছিল।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পদ্মাসেতু টোলপ্লাজা সংলগ্ন প্রধানমন্ত্রীর সভা মঞ্চ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন হলি আর্টিজন হামলার পর পদ্মা সেতুতে হামলার ষড়যন্ত্র ছিল। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কতটা এক্ষেত্রে কাজে লেগেছে তা বাস্তবে হাড়ে হাড়ে আমি টের পেয়েছি। অস্বীকার করার কিছু নেই। বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শকরা চলে যেতে চেয়েছিলেন। এই রকম প্রতিকূল পরিবেশে সেনাবাহিনী সদস্যরা সাহস যুগিয়েছেন। বাস্তবে এই সত্যটা অস্বীকার করার কিছু নেই। অস্বীকার করার কিছু নেই যে পদ্মা পাড়ের মানুষের অবদান। শিবচর, জাজিরা, লৌহজং, শ্রীনগর উপজেলার জনগণ, স্থানীয় এমপিসহ জনপ্রতিনিধি সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করেছেন। শত শত বছরের বাপ-দাদার ভিটে মাটি পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে দিতে হয়েছে এই সেতুর জন্য। পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে দেওয়ার বেদনা অংকুরে বিদ্যমান। সেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই দু-পাড়ের মানুষ।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের এই পর্যায়ে আসার পিছনে উভয় পাড়ের জনগণের সীমাহীন ত্যাগ, অবদান আছে। অবদান রয়েছে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের যারা ঝড়, বৃষ্টি, কুয়াশা এমনকি ঈদের দিনেও আমার সাথে ছিলেন। অবদান রয়েছে দুই পাড়ের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রবিবার পদ্মাসেতুর চলমান কাজের উদ্ধোধন, রেল সংযোগ ভিত্তি প্রস্থর,৬ লেন এক্সপ্রেসওয়ে কাজের পরিদর্শন ও নদী শাসন প্রকল্পের উদ্ধোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর শুভাগমন উপলক্ষে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে এবং নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে পুরো এলাকা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব, এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা, স্পেশাাল সিকিউরিটি ফোর্স এর মেজর (অব:) মঈন, পদ্মাসেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, গোলাম সরোয়ার কবীর, মহিলা নেত্রী এমিলি পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/১৩ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল